হাতির হানায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের বেলিয়াতোড় রেঞ্জের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে মৃত কানাইচন্দ্র আকুলি (৫৪) বেলিয়াতোড়ের ছান্দার গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্দনপুর এলাকার বাসিন্দা। রবিবার সকালে গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়েছিলেন কানাইচন্দ্রবাবু। বিকেল পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরে গ্রামবাসী জঙ্গলের ভিতরে তাঁর ক্ষত বিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) পিনাকী মিত্র বলেন, “স্থানীয় হাতির আক্রমণেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
বুধবারই বড়জোড়া রেঞ্জের বারোভুঁইয়া জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়ে স্থানীয় হাতির হানায় নারী বাগদি (৫৫) নামের এক মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনা হল, ভিন জেলার দল হাতির পাল ঢোকা রুখে সাফল্য পেয়েছে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগ। তবে স্থানীয় হাতির হানায় একের পর এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হচ্ছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের জঙ্গলে এই মুহূর্তে ১৯টি স্থানীয় হাতি বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাতিগুলির উপর লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছে বনদফতর।
ডিএফও জানান, সাধারণ মানুষ যাতে হাতির অবস্থান জানতে পারে তার জন্য এসএমএস পরিষেবাও চালু করেছেন বন দফতর। ৯০১৫১৮১৮৮১ নম্বরে মিসড কল করলেই কোন জঙ্গলে কতগুলি হাতি রয়েছে তা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে এসএমএস মারফত।
এত কিছুর পরেও কেন হাতির হানায় মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না?
পিনাকীবাবু বলেন, “স্থানীয় হাতিগুলি কিন্তু জঙ্গল থেকে বেরোচ্ছে না। গ্রামবাসী জঙ্গলে গিয়েই হাতির আক্রমণের মুখে পড়ছেন।”
গ্রামবাসী যাতে হাতির অবস্থা জেনে জঙ্গলে যায় সে বিষয়ে এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পিনাকীবাবু।
ছান্দার গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সদানন্দ মান বলেন, “আমরাও সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি। জঙ্গলে যাওয়ার আগে যাতে হাতির গতিবিধি জেনে নেন, তার জন্য সবাইকে বলা হচ্ছে।’’