বিস্ফোরণ কেন, ধন্দে লাভপুর

বাজি হোক বা বোমা বাঁধতে গিয়ে এই জেলায় বিস্ফোরণ নতুন কিছু নয়। অতীতে এই ঘটনায় বহু রক্ত ঝরেছে। শুক্রবারই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের দাবি, ওই গ্রামে প্রায় ১০টি পরিবার বাজি-পটকা তৈরি করে বিয়ে-পুজোয় সরবরাহ করে। অর্ডার অনুযায়ী তারা বাড়ি লাগোয়া কারখানাতে বাজি-পটকা তৈরি করে রাখেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লাভপুর শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০০:২৬
Share:

ছত্রখান: ভেঙে পড়েছে দেওয়ালের একাংশ। তাতে দুমড়ে গিয়েছে গাড়ি। রবিবার। ছবি: কল্যাণ আচার্য

আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাভপুরের পূর্ণা। উড়ে গেল টিনের চাল। ভেঙে পড়ল দেওয়াল। পুড়ে গেল একটি চালাঘর সহ দুটি বাড়ি। রবিবার সকাল সাড়ে দশটার ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরেই ওই কাণ্ড।

Advertisement

বাজি হোক বা বোমা বাঁধতে গিয়ে এই জেলায় বিস্ফোরণ নতুন কিছু নয়। অতীতে এই ঘটনায় বহু রক্ত ঝরেছে। শুক্রবারই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের দাবি, ওই গ্রামে প্রায় ১০টি পরিবার বাজি-পটকা তৈরি করে বিয়ে-পুজোয় সরবরাহ করে। অর্ডার অনুযায়ী তারা বাড়ি লাগোয়া কারখানাতে বাজি-পটকা তৈরি করে রাখেন। এখন বিয়ের মরসুম চলছে। প্রায় প্রতিটি মালাকার পরিবারে বাজি পটকা জমা রয়েছে বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে দুই ভাই তরুণ এবং অরুণ মালাকারের বাড়িতে জমা থাকা বাজি পটকা বিস্ফোরণের ভয়াবহতা বেড়েছে সে কারণেই। একই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, তরুণ মালাকারের একটি বাড়ির অ্যাসবেসটসের চাল উড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে একটি পাকা বাড়ির দেওয়ালের একাংশ। একই চত্বরে অবস্থিত তার ভাই অরুণ মালাকারের একটি খড়ের চালের বাড়ি এবং একটি চালাঘর পুড়ে গিয়েছে। এক ঝলকে ওই চত্বর দেখলে মনে হবে ধ্বংসস্তূপ। চার দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইট। দেওয়াল ভেঙে পড়ার তুবড়ে গিয়েছে চার চাকা গাড়ি। সেই গাড়ির ছাদে আবার পড়ে রয়েছে ইটের গুচ্ছ। রেহাই পায়নি সাইকেল, মোটরবাইকও। পুড়ে গিয়েছে মাটির দেওয়াল। চার দিকে কৌতূহলী জনতার ভিড়।

Advertisement

তবে বিস্ফোরণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ মুখ খুলতে চাননি। তরুণবাবু অবশ্য বাজি তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, ‘‘রান্না করার সময় সিলিন্ডার ফেটে বাড়িতে আগুন ধরে যায়।’’ এ দিকে, স্থানীয় সূত্রের খবর পেয়ে বিস্ফোরণের ঘণ্টা খানেক পরে দমকল কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ জানায়, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন