পঞ্চায়েতে রাতভর অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে প্রধানকে দিয়ে জোর করে কাজের দরপত্র ‘বাতিল’ করানোর অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির রুদ্রনগর পঞ্চায়েতের ঘটনা। ব্লক প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, এ ভাবে কোনও দরপত্র বাতিল করা যায় না।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার স্মারকলিপি দিতে এসেও প্রধানের দেখা না পেয়ে রাতভোর ওই পঞ্চায়েত ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। এ দিন অবশ্য প্রধান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তৃণমূলের মুরারই ২ ব্লক সভাপতি আবু বাক্কারের দাবি, ‘‘প্রধান স্মারকলিপির দিন না এসে দলীয় কর্মীদের হয়রান করেছেন। সেই ক্ষোভে রাতভর অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। এ দিন সকালে ব্লক প্রশাসন ও প্রধানের উপস্থিতিতে নানা অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়।’’ তাঁর আরও দাবি, যে সব এলাকায় কাজ হয়নি, সেখানে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান। পাশাপাশি এ দিনই ৪৪ লক্ষ টাকার অবৈধ কাজের দরপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি ওই তৃণমূল নেতার।
পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান হাসি মালের দাবি, রেশন কার্ড বিলি নিয়ে ব্যস্ততার জেরে স্মারকলিপি নেওয়ার দিন নির্ধারিত করতে পারেননি। সোমবার আবার তাঁর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারেননি। হাসিদেবীর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘এ দিন ওরা যে সব কাজের দাবি তুলেছেন, তার মধ্যে অনেক জায়গায় বিরোধী সদস্যেরা নিজে থেকেই সেখানে কাজ করতে চাননি। এখন ব্লক অফিস অনুমতি দিলে সেই সব স্থানেও কাজ করা হবে।’’ তাঁর অভিযোগ, এ দিন যুগ্ম বিডিও-র উপস্থিতিতেই তাঁকে দিয়ে জোর করে ৪৪ লক্ষ টাকার নানা কাজের দরপত্র বাতিলের একটি কাগজে সই করানো হয়েছে।
এ দিন গোলমাল সামলাতে ওই পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন যুগ্ম বিডিও (মুরারই ২) অনির্বাণ সিংহ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কে বলেছে দরপত্র বাতিল হয়েছে? এ ভাবে দরপত্র বাতিল করা যায় না। কিছু অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’