সুদীপ্ত সেন।
সারদার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন বেআইনি ওই অর্থলগ্নি সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। মঙ্গলবার একটি মামলায় সুদীপ্তকে বোলপুর আদালতে হাজির করানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর আর্জি, “বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। আর আমার সম্পত্তি বিক্রি করে যাঁরা টাকা পাবেন, তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।” এ দিন, বোলপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি অন্য মামলার মতো সিবিআইকে হস্তান্তর করে দেওয়ার আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল।
২০১৩ সালে আলবাঁধা সর্পলেহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর গ্রামের সন্তোষ মুখোপাধ্যায় বোলপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলায় ওই বছরেরই নভেম্বর মাসে বোলপুর আদালতে সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়, মনোজকুমার নাগেলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। পরে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সারদা-কাণ্ডের সমস্ত মামলা সিবিআইয়ের হাতে চলে যায়। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই এই মামলার চার্জশিট জমা পড়ে যাওয়ায় এই মামলাটি এখনও সিবিআইয়ের হাতে যায়নি। এ দিন, এই মামলায় সুদীপ্ত সেনকে এসিজেএম অরবিন মিত্রের এজলাসে হাজির করানো হয়। মামলার সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল এই মামলাটিও অন্য মামলার মতো সিবিআইকে হস্তান্তর করার আর্জি জানান। সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান, যেহেতু এই মামলার চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, তাই এই মামলাটির পুনঃরায় তদন্ত সিবিআই চায় না।
সরকারি আইনজীবী বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই এই মামলাটির চার্জশিট হয়ে গিয়েছে। তাই সিবিআই চাইলে ফের তদন্তের আর্জি জানাতে পারে। তাই অন্য মামলাগুলির মতো এটিকেও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।’’এ দিকে, এ দিন আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সুদীপ্ত দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার আর্জি রাখেন। তাঁর অভিযোগ, “বিচার প্রক্রিয়া ঠিক মতো এগোচ্ছে না। চার বছর হয়ে গেল সিবিআই ট্রায়াল শুরু করতে পারেনি। সাড়ে চার বছর হয়ে গেল ইডি ট্রায়াল শুরু করতে পারেনি।’’এরপরেই যোগ করেন, ‘‘সারদার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। কোপাই রিসর্টটাই দেখুন না। এই রকম রিসর্ট বীরভূমে ছিল না।’’