sucide

কাজ নিয়ে খোঁটা! বাঁকুড়ায় বঁটি দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী ‘মানসিক রোগী’ স্বামী

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অলোক পেশায় কৃষক। বাঁকুড়ার জয়পুর থানার আশুরালি গ্রামে তাঁর বাড়ি। দম্পতির দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:২৭
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

বঁটি দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার আশুরালি গ্রামের পূর্বপাড়ায়। শনিবার সকালে ঘটনাটি নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম অলোক মণ্ডল (৫৫) এবং মুক্তা মণ্ডল (৫০)। জয়পুর থানার পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অলোক পেশায় কৃষক। বাঁকুড়ার জয়পুর থানার আশুরালি গ্রামে তাঁর বাড়ি। দম্পতির দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে অলোক মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।

শনিবার অনেক বেলা পর্যন্ত অলোকের বাড়ির দরজা বন্ধ থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। আর তাতেই সন্দেহ হয় তাঁদের। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে প্রতিবেশীরা দেখেন, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে মুক্তার দেহ। অদূরেই ছিল সব্জি কাটার বঁটি, তাতে লেগে ছিল রক্ত। এর পরেই অলোকের খোঁজ শুরু করেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা দেখেন ঘরের চিলেকোঠায় যাওয়ার সিঁড়ির কাছে ঝুলছে প্রৌঢ়ের দেহ। তড়িঘড়ি প্রতিবেশীরা জয়পুর থানায় খবর দেন।

Advertisement

আত্মীয়দের দাবি, স্বামীকে কাজ করা নিয়ে ‘খোঁটা’ দিয়েছিলেন স্ত্রী। আর সেই রাগেই মানসিক ভাবে অসুস্থ অলোক বঁটি দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন। পরে নিজে আত্মঘাতী হন স্বামী। মৃত অলোকের ভাইপো সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘‘কাকা দীর্ঘ দিন ধরেই মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ওষুধ খেলে কিছুটা সুস্থ থাকতেন। শুক্রবার রাতে সম্ভবত কাকিমা সংসারের কথা ভেবে কাকাকে কাজ করতে বলেছিলেন। আর তাতেই মাথা গরম হয়ে যায় কাকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement