নজরে নলহাটির পুরভোট

প্রচার, সভা দিয়ে ময়দানে সব দলই

এ বার নলহাটি পুরসভার ওয়ার্ড ১৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬। এখনও পর্যন্ত মোট ভোটার তিরিশ হাজারের কাছাকাছি। ২০০২ সালে যখন নলহাটি পুরসভার প্রথম নির্বাচন হয়, তখনও ওয়ার্ড ছিল ১৬। তখন পুরপ্রধান হন কংগ্রেসের আইনাল হোদা আহমেদ।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

নলহাটি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৭ ০২:২৭
Share:

দিন দশেক আগে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রশাসক হিসাবে নলহাটি পুরসভার দায়িত্বে এসেছেন রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস। তার ছ’দিনের মাথায় রাজ্যের অন্য ছয় পুরসভার সঙ্গে নলহাটিতেও ৬ অগস্ট ভোট করানোর জন্য রাজ্যের তরফে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তা জানার পরেই তাল ঠুকতে শুরু করেছে সব পক্ষ।

Advertisement

এ বার নলহাটি পুরসভার ওয়ার্ড ১৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬। এখনও পর্যন্ত মোট ভোটার তিরিশ হাজারের কাছাকাছি। ২০০২ সালে যখন নলহাটি পুরসভার প্রথম নির্বাচন হয়, তখনও ওয়ার্ড ছিল ১৬। তখন পুরপ্রধান হন কংগ্রেসের আইনাল হোদা আহমেদ। ২০০৭ সালে যখন দ্বিতীয় বার নির্বাচন হয় তখনও ওয়ার্ড ছিল ১৬টি। কংগ্রেসের বিপ্লব ওঝা পুরপ্রধান ছিলেন। ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে বিপ্লব ওঝা-সহ ৮ জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১২ সালে তৃতীয়বার নির্বাচনে ওয়ার্ড সংখ্যা ১৬ থেকে কমে ১৫ হয়। ১০ এবং ১১ এই দুটি মিলে ১০ নম্বর ওয়ার্ড হয়। সেই সময় তৃণমূল একক ক্ষমতায় পুরসভা দখল করে। পুরপ্রধান হন রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ। এ বার আগের ১০ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড দুটিকে ফের আলাদা করে ১৬টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হবে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসাবে দলের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মাস তিনেক আগেই নলহাটিতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে সাত জনের কমিটি গড়ে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিটির প্রধান বিধায়ক মইনউদ্দিন শামসকে প্রার্থী তালিকা তৈরি থেকে জেলা কমিটিতে পাঠানোর সমস্ত দায়িত্ব দেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসাবে ওয়ার্ড ওয়ার্ডে ছোট করে সভা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অনুব্রত। ভোট ঘোষণা হতেই কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক হয়েছে। আগামী ২৯ তারিখ ফের বৈঠক রয়েছে। বিদায়ী পুরপ্রধান রাজেন্দ্র প্রসাদ সিংহ অবশ্য বলেন, ‘‘পাঁচ বছর ধরেই উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে থেকেছি। তাই প্রস্তুতি পাঁচ বছর ধরেই চলছে।’’

Advertisement

পিছিয়ে নেই বাম-বিজেপিও। বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘আমরাও মাঠে নেমে পড়েছি। ভোটের মতো ভোট হলে আমাদের প্রার্থীই জিতবে। কারণ, মানুষ ফের পরিবর্তন চাইছেন।’’ জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক মনসা হাঁসদা বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপিকে আটকানোর জন্য আমরা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। আমরা নলহাটিতে সব আসনেই প্রার্থী দেব।’’

পিছিয়ে নেই জেলা কংগ্রেসও। জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, ‘‘নলহাটি তো কংগ্রেসের এলাকা। মানুষ ভোট দিতে পারলে ওখানে তৃণমূল এ বার হারছেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন