encroachment

encroachment: দফতরের জমি ‘দখল’ করে আবাস নির্মাণ

স্থানীয়দের একাংশ জানান, অযোধ্যা পাহাড়ের অযোধ্যা বিট এলাকায়, পুনিয়াশাসন থেকে উসুলডুংরি যাওয়ার রাস্তায় কিছু দিন আগে অতিথি আবাসটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২১ ০৬:০৬
Share:

চলছে মাপজোক। নিজস্ব চিত্র

অতিথি আবাস তৈরির জন্য নির্বিচারে গাছ কাটার অভিযোগে সরব হয়েছেন পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের বাসিন্দাদের একাংশ। পাশাপাশি, বন দফতরের জমি দখল করে অতিথি আবাসটি তৈরি করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তেরও দাবি উঠেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরে, ঘটনাস্থলে গিয়ে জমির মাপজোক শুরু করেছে বন দফতর। আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ডিএফও (পুরুলিয়া ডিভিশন) দেবাশিস শর্মা জানান, বন দফতরের জমি দখল করে অযোধ্যা পাহাড়ে একটি অতিথি আবাস তৈরি করা হচ্ছে বলে স্থানীয় তরফে দফতরের কাছে অভিযোগ এসেছে। ভূমি দফতরের সহায়তায় ওই অঞ্চলের জমি সমীক্ষা করে মানচিত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

তাঁর কথায়, “জমির কোন অংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন আর কোন অংশ দফতরের আওতায় রয়েছে, তা মানচিত্র থেকে স্দফতরের জমি দখল করা হলে পদক্ষেপ হবে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।” গাছ কাটার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “ওই জায়গা থেকে কিছু কেটে ফেলা গাছ দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে। কে বা কারা গাছগুলি কেটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

স্থানীয়দের একাংশ জানান, অযোধ্যা পাহাড়ের অযোধ্যা বিট এলাকায়, পুনিয়াশাসন থেকে উসুলডুংরি যাওয়ার রাস্তায় কিছু দিন আগে অতিথি আবাসটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দা কেদার সিং মুড়া-সহ একাংশের অভিযোগ, “যেখানে অতিথি আবাসটি তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে একাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।” তাঁরা আরও জানান, আবাসের কাজ যেখানে চলছে, সেখানে বন দফতরের জমিও রয়েছে। গাছ কাটার অনুমতি রয়েছে কি না এবং দফতরের জমি দখল করে কাজ হচ্ছে কি না তা বন দফতরের আধিকারিকদের খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে অযোধ্যা পঞ্চায়েতের প্রধান মুকুন্দ মুর্মুও জানান, পুলিয়াশাসনের কাছে গড়ে ওঠা অতিথি আবাস নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ আপত্তি তুলেছেন। তবে যেহেতু সেখানে বন দফতরের জমি রয়েছে, তাই দফতরই বিষয়টি দেখছে।

এ দিকে, অতিথি আবাসটি নির্মাণকারীদের তরফে জয়ন্ত ঘোষের দাবি, “ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যে জমিতে অতিথি আবাসের নির্মাণকাজ চলছে, তা ব্যক্তি মালিকানাধীন। ওই জমি লাগোয়া বন দফতরের জমি থাকলেও কোনও ভাবে তা দখল করা হয়নি। বন দফতর জমির মাপজোক শুরু করেছে। কয়েক দিন পরে, সব স্পষ্ট হবে।”

গাছ কাটার অভিযোগও মানতে চাননি তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন