কাজ না করেই বোর্ড, অভিযোগ

দিন কয়েক আগে  ১০০ দিনের কাজে পুকুর সংস্কারে মেশিন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

বছরে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে আবার ‘দুর্নীতি’-র অভিযোগ উঠল দুবরাজপুর ব্লকে। দিন কয়েক আগে ১০০ দিনের কাজে পুকুর সংস্কারে মেশিন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এ বার কাজ না করেই টাকা তোলার পরিকল্পনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে দুবরাজপুরের পারুলিয়া পঞ্চায়েতের জামথলিয়া গ্রামে। সম্প্রতি বিডিও-র (দুবরাজপুর) কাজে স্থানীয় বাসিন্দারা লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন, এক কোদাল না কেটেও স্রেফ বোর্ড লাগিয়ে নদীর পাড়ের ক্ষয় রোখার কাজ হয়েছে দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার একটা চেষ্টা হয়েছে। বিডিও মুজিবর রহমান বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।’’ ওই পঞ্চায়েতের দাবি, মোটেই দুর্নীতি হয়নি। কাজ শুরু হবে।

Advertisement

জামথলিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিন কয়েক আগে গ্রামের উত্তর দিকে থাকা চন্দ্রভাগা নদীর কাছে একটি অস্থায়ী বোর্ড লাগিয়ে ছবি তোলা হচ্ছিল। তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় বোর্ড লাগানোয় বাধা দেন কয়েক জন। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই বোর্ডটিতে লেখা ছিল, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে নদীর পাড়ে মাটি চাপানোর জন্য ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৯২০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ১৪০ জন জবকার্ডধারী শ্রমিক এর জন্য কাজ করেছেন বলেও উল্লেখ রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা মুস্তাক হোসেন, শেখ সামিউল, শেখ হাসমতরা বলছেন, ‘‘যেখানে কোনও কাজই হয়নি, এক জনও কাজ পাননি, সেখানে এ ভাবে অস্থায়ী বোর্ড রেখে ছবি তোলার পিছনে নিশ্চয় অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এনেছি।’’

গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, ঘটনার কোনও সত্যতা নেই। কেননা ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে জবকার্ডধারীদের আবেদন ও চাহিদার ভিত্তিতে কাজ বাছাই হয়। অনুমোদন পাওয়ার আগে জানাতে হয়, উক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের কোন সংসদে কী কাজ হবে, সেই কাজ করতে কত দিন সময় লাগবে কিংবা কত জন শ্রমিক লাগবে। প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পরে মাস্টার রোল তৈরি হয়। এর পরের ধাপ হল, যে জায়গায় কাজ হবে, সেখানে কাজের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়ে বোর্ড লাগিয়ে ‘জিও ট্যাগিং’ করা। আরও দু’টি ধাপে ‘জিও ট্যাগিং’ করা হয়। কাজ শুরু হলে এবং শেষ হলে।

Advertisement

পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সান্ত্বনা মণ্ডল এবং স্থানীয় বাসিন্দা তথা দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘অনেক সময় তাড়াহুড়োয় প্রথম বোর্ডটা স্থায়ী করার সময় থাকে না। এখানে সেই ভাবেই ‘জিও ট্যাগিং’ করা হচ্ছিল। তার ফলেই কিছু মানুষ ভুল বুঝেছেন। ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে দিন কয়েকের মধ্যেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন