বিতর্ক: রঘুনাথপুরে এসইউসি-র মিছিল। নিজস্ব চিত্র
স্কুলে ফের পাশ-ফেল চালু করার দাবিতে ধর্মঘটের সমর্থনে পড়ুয়াদের নিয়ে মিছিল করে বিতর্কে জড়াল এসইউসি।
আগামী সোমবার ওই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রঘুনাথপুর শহরে সেই মিছিলে সামিল হয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়ারা। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সামিল করানোর ঘটনায় স্বভাবতই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এসইউসি-র দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ইচ্ছুক রাজ্যগুলি পাশ-ফেল শুরু করতে পারে। কিন্তু রাজ্য সরকার তা নিয়ে টালবাহানা করছে। তাই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটা নাগাদ রঘুনাথপুর মহকুমা গ্রন্থাগার থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল শুরু হয়ে শহরের একাংশ ঘুরে এটিম ময়দানের সামনে শেষ হয়। স্কুলের পোশাক পরে মিছিলে যোগ দেয় রঘুনাথপুর শহরের কয়েকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শতাধিক পড়ুয়া। মিছিলে এসইউসি-র স্থানীয় নেতৃত্ব লক্ষ্মীনারায়ণ সিংহ, কালিদাসী বাউরি, নীলিমা ভদ্রের সঙ্গে ছিলেন ডিএসও-র পুরুলিয়া জেলা সভাপতি স্বদেশপ্রিয় মাহাতো। তবে মিছিলে সংগঠনের কোনও ব্যানার ছিল না।
স্বদেশপ্রিয়বাবুর দাবি, ‘‘পাশ-ফেল না থাকায় পড়ুয়াদের শিক্ষার ভিত দুর্বল হচ্ছে। তারা নিজেরাই সমস্যাটি বুঝে অভিভাবকদের সম্মতিতে মিছিলে এসেছে। জোর করে কাউকে মিছিলে আনা হয়নি।’’ তবে তৃণমূলের কটাক্ষ, এসইউসি মিছিলে লোক জড়ো করতে পারেনি বলেই স্কুল থেকে পড়ুয়াদের ধরে মিছিলে সামিল করিয়েছে।
রঘুনাথপুর পুরসভার তৃণমূলের পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূলের যুব নেতা প্রণব দেওঘরিয়া দু’জনেই বলেন, ‘‘স্কুল শিক্ষার উন্নয়নে রাজ্য সরকার প্রচুর কাজ করেছে। কিন্তু কখনই তৃণমূল ছোটদের নিয়ে মিছিল করে না। এমনটা সমর্থনও করে না।’’ তাঁদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী ইতিমধ্যেই রাজ্যে পাশ-ফেল শুরু করার জন্য কেন্দ্র সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। কাজেই এসইউসি-র ধর্মঘট পুরোপুরি রাজনৈতিক ‘গিমিক’ ছাড়া কিছু নয়।