নির্বিষ: সিউড়ির তিলপাড়ায় উদ্ধার হওয়া সাপ। নিজস্ব চিত্র
তিলপাড়ার গ্রাম থেকে উদ্ধার হল সাপ। বিভাগীয় বন আধিকারিক হরিকৃষ্ণণ বলেন, ‘‘সাপটি উদয়কাল। সচরাচর দেখা মেলে না।’’ সাপটি ‘কুকরি’ নামেও পরিচিত।
শনিবার বিকেলে তিলপাড়ার কামালপুর গ্রামের মুরগীর খামারের পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে দুটি ডোমনা চিতি বা কালাচ সাপের সঙ্গে এই সাপটিকে উদ্ধার করেন অজয়পুর হাইস্কুলের শিক্ষক তথা জাতীয় বন্য প্রাণ দুর্নীতি দমন শাখার সদস্য দীনবন্ধু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘বীরভুম জেলায় সচরাচর এই উদয়কাল সাপ দেখা যায় না। শান্ত প্রকৃতির নির্বিষ এই সাপটি সাধারণত বর্ষাকালে রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় চলাফেরা করে। সাধারণত এটি কামড়ায় না তবে ভয় পেয়ে শরীরে ঝাঁকুনি দেয়। গ্রামের মানুষ না জেনে এটিকে বিষাক্ত সাপ ভেবে মেরে ফেলে।’’
জাতীয় বন্য প্রাণ দুর্নীতি দমন শাখার ওই সদস্য জানান, উদয়কাল ভারতীয় বন্যপ্রাণ রক্ষা আইন (১৯৭২) মোতাবেক চতুর্থ তপশীলের এর অর্ন্তগত। ফুট দু’য়েক লম্বা মেটে হলদে রংয়ের ডোরাকাটা এই সাপের দাঁত নেপালীদের অস্ত্র কুকরির মতো বলে এটিকে ইংরাজীতে কমন কুকরি স্নেক বলে। সাধারণত পুরানো বাড়ি, গাছের কোটর, ইটের ফাঁক— এসব জায়গায় থাকে সাপটি। মাকড়শা, ব্যাঙ, পাখির ডিম খেতে ভালবাসে। রবিবার এই সাপটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।