দুবরাজপুরের হেতমপুরে অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েক আগে রাজনগরের প্রকাশ্য জনসভা থেকে নাম না করে মুকুল রায়কে ‘ভুঁইফোড়’, ‘কুলআঁটি’ এবং ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ নেতা বলে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ বার সুর আরও এক কাঠি চড়িয়ে মুকুলকে নিশানা করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তফাত কেবল একটাই। রাজনগরে জনসভায় মাইকের সামনে বলেছিলেন। মঙ্গলবার দুবরাজপুরের হেতমপুরে জনসভা শেষে এ কথা বললেন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে।
আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সংঠগন মজবুত করতে চাইছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই জেলার প্রতিটি ব্লকে জনসভা করা হচ্ছে। অনুব্রতর দায়িত্বে জেলার ১৯টি এবং পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে আরও ৬টি মিলিয়ে মোট ২৫টি জনসভা করার কথা। চার তারিখ খয়রাশোল ব্লকে জনসভা দিয়ে শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচির। তারই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার ছিল দুবরাজপুরের হেতমপুর দক্ষিণাকালী মন্দির সংলগ্ন মাঠে জনসভা। সেখানে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই দেখা গেল অনুব্রতকে।
জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত দাবি করেন, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য তিনি আসেননি। এসেছেন লোকসভার ভোট করতে। অনুব্রতর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েতের জন্য ব্লক, অঞ্চল ও বুথ সভাপতিরাই যথেষ্ট। ত্রিস্তরীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতব।’’ কিন্তু, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ছিল সতর্কতাও। মুকুল বা বিজেপির নাম না করেও রাজনগরের মতো এখানেও দলে ‘ভাঙন’ ধরানোর প্রশ্নে উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশে অনুব্রতর বার্তা, ‘‘আপনাদের একটা অনুরোধ করব। ভুল করে যেন অন্য ডাল ধরবেন না। নরম ডাল ভেঙে মাটিতে পড়ে যাবেন। পা ভেঙে যাবে। হাত ভেঙে যাবে। কষ্ট পাবেন। ডাক্তার খুঁজে পাবেন না। কেউ পঞ্চায়েতে বাড়াবাড়ি করলে ওষুধ আপনাদের জানা আছে। ট্যাবলেটে কাজ না হলে ইঞ্জেকশন দেবেন।’’ কখনও আবার বিনয়ী শুনিয়েছে জেলা সভাপতির গলা। উপস্থিত ভিড়ের উদ্দেশ্য অনুব্রত বলেন, ‘‘আপানারা দাবি করুন কী চাই আপনাদের। একশোবার দাবি করুন।’’