এই শিল্পীর পছন্দের বিষয় প্রকৃতি। আর সেই প্রকৃতিকেই তিনি রঙ দিয়েছেন শাড়ির গায়ে। সেই শিল্পকর্ম দেখেই বোলপুরের শিল্পী প্রলয় মান্নাকে ‘সম্মান ২০১৬’ পুরস্কার দিল কেন্দ্রীয় সিল্ক বোর্ড।
চলতি মাসের গোড়ায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় চারশো শিল্পীকে নিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতার। সেখান থেকে প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয় ৫১ জনকে। প্রতিযোগিতার চূড়়ান্ত পর্বের জন্য বাছাই করা হয় প্রলয়বাবুর তৈরি করা ৮টি শাড়ি। আর তাতেই কিস্তি মাত। ‘বুটিক অ্যান্ড ডিজাইনার’ বিভাগে সকলকে টেক্কা দিয়ে প্রলয়বাবুর হাত ধরে সেরার স্বীকৃতি এল বোলপুরে।
প্রলয়বাবুর শিল্পকর্মের শুরুটা হয়েছিল অনেক আগে। সেই ১৯৮৭তে। তারপরে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টানা কলাভনে ডিজাইন ও ভাস্কর্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেই এই শিল্পী ভাবলেন যদি শিল্পকেই স্বনির্ভরতার মাধ্যম করা যায়! বোধহয় সেই ভাবনা থেকেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি এবং ডিআরডিসি-র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শিবিরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দু’শো জন মহিলাকে কাঁথাস্টিচ, বুটিকের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন প্রলয়বাবু। এ যাবৎ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় হাজার দু’য়েক মহিলাকে বিভিন্ন শিল্প-কর্মের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। শিল্প-ভাবনার খোরাক কোথা হতে পান? হুগলির কোন্নগরে বড়ো হওয়া, বর্তমানে বোলপুরের জামবুনির বাসিন্দা ‘রাজ্য সেরা’ শিল্পী বলেন, ‘‘আদিবাসীদের জীবনযাত্রা, ফুটবল প্রতিযোগিতা, পাখিদের বাড়ি এ সবই প্রাথমিক ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি।’’