পুরুলিয়ার ইন্ডোর স্টেডিয়াম। নিজস্ব চিত্র
পুরুলিয়া ইন্ডোর স্টেডিয়ামের দায়িত্ব ক্রীড়া দফতরের হাত থেকে চলে গেল আরবান স্পোর্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট কমিটির হাতে। দায়িত্ব পেয়েই নতুন কমিটি বৈঠকে বসে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ভাড়া ঠিক করল। পুরুলিয়ার জেলা ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ আধিকারিক শ্যামল সেন জানিয়েছেন, রাজ্য ক্রীড়া দফতরই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের যে স্টেডিয়ামগুলি রয়েছে, তা ওই কমিটি এ বার থেকে দেখভাল করবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আরবান স্পোর্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট কমিটির হাতে হস্তান্তর হয়েছে স্টেডিয়ামটি। এই কমিটিতে মোট সাত জন সদস্য থাকছেন। সংশ্লিষ্ট পুরসভার পুরপ্রধানই কমিটির চেয়ারম্যান আর মহকুমাশাসক কো-চেয়ারম্যান। এ ছাড়া কমিটির বাকি সদস্যেরা হলেন পুরসভার এগ্জিকিউটিভ অফিসার, জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার, জেলা ক্রীড়া দফতরের আধিকারিক এবং পুরপ্রধান মনোনীত দু’জন।
পুরুলিয়ার পুরপ্রধান সামিমদাদ খান জানিয়েছেন, ক’দিন আগে এই কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে। পুরপ্রধানের দু’জন প্রতিনিধি হিসেবে কমিটিতে রয়েছেন উপপুরপ্রধান এবং যে ওয়ার্ডে স্টেডিয়ামটি রয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘প্রথমত স্টেডিয়ামটি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ রয়েছে। তাই কেউ স্টেডিয়াম ব্যবহার করলে, তাঁকে কত ভাড়া দিতে হবে— এ সব নিয়েই বৈঠক হয়েছে।’’ তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে কেউ খেলাধূলোর জন্য স্টেডিয়াম নিলে ১২ হাজার টাকা লাগবে। অন্য কাজের জন্য নিলে ২০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে। জানা গিয়েছে, এই ভাড়া আট ঘণ্টার জন্য। এর বেশি হলে ঘণ্টা পিছু কত ভাড়া হবে এবং তার মেয়াদ কত ঘণ্টার জন্য বর্ধিত করা হবে, সেই বিষয়গুলি এখনও বিবেচনাধীন। শ্যামলবাবু জানান, আগামী ১ মার্চ সমস্ত বিষয়গুলিই বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মানভূম ক্রীড়া সংস্থার চৌহদ্দির মধ্যে এই ইন্ডোর স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় বামফ্রন্ট সরকারের আমলে। নির্মাণ শুরুর পরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন অনেকটা সময় নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। পরে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেন। তারপর থেকে ক্রীড়া দফতরের হাতেই রয়েছে স্টেডিয়ামটি।