বাল্যবিবাহের অপকারিতার কথা শোনাচ্ছে সুপর্ণা। নিজস্ব চিত্র।
সমাজে প্রচলিত ঘৃন্য বাল্যবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে নিজের সহপাঠী ও জুনিয়রদের আহ্বান জানাল স্কুলেরই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুপর্ণা শীল। তার এই ডাকে সাড়া দিলেন উপস্থিত সকলেই।
বাল্য বিবাহ রুখতে এমনই একটি সচেতনতা শিবির হয়ে গেল বোলপুরের রজতপুরে। উদ্যোক্তা বিশ্বভারতীর পল্লি সম্প্রসারণ কেন্দ্র এবং জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইন্দ্রনারায়ণ বিদ্যাপীঠে আয়োজিত ওই শিবিরে হাজির হয়েছিলেন শতাধিক পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকেরা।
আয়োজকদের পক্ষে বিশ্বভারতীর পল্লি সম্প্রসারণ কেন্দ্রের প্রধান সুজিতকুমার পাল জানান, পড়ুয়া (বিশেষ করে ছাত্রী সমাজ) ও অভিভাবকদের মধ্যে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় সচেতনতা গড়ে তুলতেই এমন উদ্যোগ। জেলার সংখ্যালঘু, তফশিলি জাতিও জনজাতি অধ্যুষিত স্কুলগুলির অন্যতম এই রজতপুর ইন্দ্রনারায়ণ বিদ্যাপীঠ। এ দিনের শিবিরে স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় দুশো ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবক হিসেবে ৭০ জন মহিলা হাজির ছিলেন। বাল্যবিবাহ রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, সে বিষয়ে আলোচনা হয় ওই শিবিরে। পাশাপাশি এমন অপরাধে ক্ষেত্রে কী আইনি ব্যবস্থা রয়েছে, তা তুলে ধরেন এসডিপিও (বোলপুর) অম্লানকুসুম ঘোষ। আবার বাল্য বিবাহের জেরে শুধু সামাজিক সমস্যাই নয়, মেয়েদের স্বাস্থ্যজনিত কী কী সমস্যা হয়, উপস্থিত শ্রোতাদের সে তথ্য তুলে ধরেন শ্রীনিকেতনের অধিকর্তা সবুজকলি সেন। শিবিরে কথা বলেন শিশুসুরক্ষা আধিকারিক (ইনস্টিটিউশনাল কেয়ার) সংযুক্তা ভট্টাচার্য, স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপনারায়ণ দত্তও। পরিবারের মা, মাসি, দিদা, ঠাকুমাদের মধ্যে এমন সচেতনতা আরও বেশি করে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন আমন্ত্রিতেরা। স্কুলের পক্ষে শিক্ষক জসিমুদ্দিন মোল্লা এবং অভিভাবক শরিফা বিবি, কবিতা মণ্ডল, মহুয়া ভট্টাচার্য, লক্ষ্মী সরকারেরা এসডিপিও-র ফোন নম্বর চেয়ে নেন।