পৃথ্বীরাজ চাঁদ
বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে বাঁকুড়ার এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ পরিবারের। তাঁর নাম পৃথ্বীরাজ চঁদ। বাড়ি বাঁকুড়া শহরের যুগীপাড়া এলাকায়। পৃথ্বীরাজের খোঁজে বেঙ্গালুরু গিয়েছেন তাঁর ভাই সিরাজ ও কয়েক জন আত্মীয়। সিরাজের অভিযোগ, বেঙ্গালুরুর আভালাহাল্লি থানার পুলিশ তাঁদের অভিযোগ নিতে গড়িমসি করেছে। বিষয়টি শুনে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুকুমার টি পি। বেঙ্গালুরু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক (বাঁকুড়া সদর) অসীমকুমার বালাও।
স্ত্রী রত্না চঁদ জানান, বছর বাহান্নর পৃথ্বীরাজ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। সেখানে কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কাজ করেন। গত মে-তে বাড়ি এসেছিলেন। ৩ অগস্ট বিকেলে তাঁর সঙ্গে ফোনে শেষ কথা হয়েছিল। ৪ অগস্ট রাতে এক আত্মীয় ফোন করে জানান, বেঙ্গালুরুতে দুর্ঘটনায় পড়েছেন পৃথ্বীরাজ।
শুনেই পৃথ্বীরাজের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তাঁর পরিজনেরা। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল। রত্না বলেন, “আমাদের এক আত্মীয় বিশেষ কাজে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। তিনিই আমার স্বামীকে ফোন করেছিলেন ৪ অগস্ট। তখন ফোনটা ধরেছিলেন। জানিয়েছিলেন, দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। এর পরেই ওই আত্মীয় আমাদের ফোন করেন।” তাঁর দাবি, খবর পেয়েই বাঁকুড়া সদর থানায় গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ বেঙ্গালুরু গিয়ে খোঁজ করতে বলে।
টাকাপয়সা জোগাড় করে ১৫ অগস্ট দু’জন আত্মীয়কে নিয়ে দাদার খোঁজে বেঙ্গালুরু যান পৃথ্বীরাজের ভাই সিরাজ চঁদ। বেঙ্গালুরুতে এক ব্যক্তির কাছে কাজ করতেন পৃথ্বীরাজ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সিরাজের দাবি, ওই ব্যক্তি তাঁদের জানান, কয়েক মাস ধরে পৃথ্বীরাজের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নেই। তবে গত ৪ অগস্ট ফোনে পৃথ্বীরাজের দুর্ঘটনার খবর পান। তবে যেতে পারেননি।