Mamata at Birbhum

যেতে পারেন পৈতৃক গ্রামে, তৈরি প্রশাসন

সে কাজ খতিয়ে দেখতে শনিবার চাকাইপুরে আসেন মহকুমাশাসক (রামপুরহাট) সৌরভ পাণ্ডে, বিডিও (রামপুরহাট ১) অঙ্কুর মিত্র-সহ প্রশাসনের আরও আধিকারিকেরা।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ০৯:১৫
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

আগামিকাল, রবিবার, বীরভূমে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার জেলায় এসে নিজের পৈতৃক গ্রাম, রামপুরহাট ১ ব্লকের চাকাইপুরে যেতে পারেন তিনি। গ্রামে একটি দুর্গামন্দিরও উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল কলকাতা গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রামে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছে বলে সূত্রের খবর।

তাই ‘যুদ্ধকালীন তৎপরতায়’ চাকাইপুর গ্রামের পরিকাঠামোর সংস্কার শুরু করেছে প্রশাসন। সে কাজ খতিয়ে দেখতে শনিবার চাকাইপুরে আসেন মহকুমাশাসক (রামপুরহাট) সৌরভ পাণ্ডে, বিডিও (রামপুরহাট ১) অঙ্কুর মিত্র-সহ প্রশাসনের আরও আধিকারিকেরা।

মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীকে পৈতৃক গ্রামে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি আসতে পারেন। গ্রামের একটি দুর্গামন্দির তাঁর উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এ জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী আসতে পারেন বলে চাকাইপুর গ্রামের নিকাশি, রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক ভিটে সংলগ্ন উচ্চ বাতিস্তম্ভের আলো খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেটি সারানো হচ্ছে। নতুন দুর্গামন্দিরে বাকি কাজও শেষ করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর লেখায়, ভাষণে, স্মৃতিচারণায় তাঁর পৈতৃক গ্রাম চাকাইপুরের কথা এসেছে। কাছেই কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি। মামা অনিল মুখোপাধ্যায় জীবিত আছেন। মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় বর্তমানে তৃণমূলের রামপুরহাট ১ ব্লকের দলীয় সভাপতি। তাঁর স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায় রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি। কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কুসুম্বা, চাকাইপুর, ছিটাসপুর, আখিড়া, রামরামপুর, সুন্দিপুরের মতো এলাকা তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের অধীন। চাকাইপুরের সর্বজনীন দুর্গামন্দির তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।

চাকাইপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক সুদীপ সাহা জানালেন, গ্রামের এই সর্বজনীন দুর্গামণ্ডপ আগে মাটির আটচালা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বাবা প্রমিলেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো করতেন। পরে মুখ্যমন্ত্রীর খুড়তুতো ভাই জিতেন বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো করতেন। সুদীপের কথায়, ‘‘এ গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক ভিটে রয়েছে। তবে এখন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের কেউ গ্রামে থাকেন না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মামার বাড়ি কুসুম্বায় একাধিক বার এসেছেন। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী চাকাইপুরেও আসুন। দুর্গামন্দিরটির উদ্বোধন করুন।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২১ জুলাই কলকাতায় গিয়ে সুদীপ-সহ চার জন গ্রামবাসী পম্পাকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে যান। সেখানেই নবনির্মিত দুর্গামন্দির উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন। সুদীপের দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে মন্দিরের উদ্বোধন করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষা করছি। প্রশাসনও প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন