নিখোঁজ অনিমেষ মিত্রের সঙ্গে চেহারার মিল মৃতের। —নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের বোলপুর থানার শিবতলার ফাঁকা মাঠে পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ! শুক্রবার সকাল থেকে এ নিয়ে শোরগোল এলাকায়। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, প্রায় ২৪ ঘণ্টা আগে হাওড়া থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ কারখানার পদস্থ আধিকারিক অনিমেষ মিত্রের চেহারার সঙ্গে মৃতের মিল রয়েছে। দেহ শনাক্ত করার জন্য অনিমেষের বাড়িতে খবর পাঠিয়েছে পুলিশ। নৈহাটি পরিবারের কয়েক জন রওনা হয়েছেন বীরভূমের উদ্দেশে। অনুমান করা হচ্ছে, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে হাওড়ার ফোরশোর রোডের বিস্কুট কারখানার ওই আধিকারিককে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে শিবতলা সংলগ্ন একটি ফাঁকা মাঠে এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন পথচলতি কিছু মানুষ। যুবকের পরনে ছিল কালো টিশার্ট এবং ঘিয়ে রঙের ট্রাউজ়ার্স। তাঁর দিকে এগিয়ে গিয়ে চমকে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। কারণ, যুবকের গলায় একটি গামছার ফাঁস দেওয়া এবং মুখটা কাপড়ে ঢাকা ছিল। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বোলপুর থানার পুলিশের কাছে।
ঘটনাক্রমে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অন্য কোথাও খুন করে যুবককে কাদাভরা মাঠে ফেলে পালিয়েছেন খুনিরা। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বোলপুর মহকুমা পুলিশের আধিকারিক-সহ পুলিশ বাহিনী। বিভিন্ন খোঁজখবর করে হাওড়া থেকে নিখোঁজ অনিমেষের সঙ্গে দেহটির মিল পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে দেহটি সত্যিই তাঁর কি না, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এ জন্য অনিমেষের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিসের টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখতে বেরিয়েছিলেন অনিমেষ। হাওড়ার বার্ন স্ট্যান্ডার্ড মোড় থেকে ‘উধাও’ হয়ে যান তিনি। অন্য একটি সূত্রের দাবি, পুলিশ কমিশনারের বাংলোর সামনে রাস্তা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দুই যুবকের সঙ্গে একটি বাইকে ওঠেন অনিমেষ। কিন্তু ওই দু’জন তাঁর পরিচিত না কি অনিমেষকে তাঁরা ভয় দেখিয়ে বাইকে তোলেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনার তদন্ত করছে হাওড়া সিটি পুলিশ। তার মধ্যে বীরভূমে এক যুবকের দেহ উদ্ধারের খবর পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অনিমেষের রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এক যুবককে আটক করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, অনিমেষের পরিবারের সদস্যেরা তাঁর দেহ চিহ্নিত করেছেন। কী ভাবে সেখানে তাঁর দেহ গেল, কে বা কারা খুন করলেন, তদন্তে পুলিশ।