Birbhum

শহিদ দিবস পালন স্ক্রিনেই

অন্যান্য বছর রাজ্যের সব প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ২১ জুলাই হাজির হতেন ধর্মতলায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ ০৪:৩৪
Share:

শ্রদ্ধা: শহিদ দিবস পালনে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এই প্রথম বার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে একুশে জুলাইয়ের সভা সারতে হল তৃণমূলকে। ধর্মতলায় নয়, কালীঘাটের বাড়ি থেকেই ভার্চুয়াল ভাষণ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

অন্যান্য বছর রাজ্যের সব প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ২১ জুলাই হাজির হতেন ধর্মতলায়। এ বছর রাজ্যের প্রত্যেকটা বুথে শহিদ স্মরণের আয়োজন করতে বলার পাশাপাশি জেলা থেকে বুথ স্তরের প্রতিটি কার্যালয়ে দলনেত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণ শোনানো যায় ব্যবস্থা হয়েছিল। ব্যতিক্রম নয় বীরভূমও। তৃণমূল জানিয়েছে, এই জেলার সাড়ে তিন হাজার বুথেই পালিত হয়েছে শহিদ দিব। এবং সবটাই কোভিড-১৯ এর বিধি মেনে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে বুথে রাজ্য থেকে পাঠানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি গান বাজাতে বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, প্রতিটি বুথে শহিদবেদি তৈরি করে শ্রদ্ধা জানাতে এবং দলের পতাকা উত্তোলন করতে। সে সবই এ দিন পালিত হয়েছে। এ দিনের সভা থেকে কী বার্তা দেন নেত্রী, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল জেলার সব স্তরের নেতা-কর্মীদের মনে। তাই নেত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণ যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল দলের তরফে। কেউ কেউ তা শুনেছেন ডিজিটাল জায়ান্ট স্ক্রিনে। কোথাও প্রজেক্টরের সাহায্যে। কোথাও টিভি। স্মার্ট ফোনেও লাইভ শুনেছেন বহু মানুষ। কিছু কিছু জায়গায় মাইক বাজিয়েও ভাষণ শোনানো হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘কোভিড সংক্রমণের জন্য কলকাতায় যেতে না পারলেও জেলায় শহিদ স্মরণে কোথাও যাতে ঘাটতি না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।’’ জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ মতো, জেলা কার্যালয়, ব্লক কার্যালয়, শহর কার্যালয় তো বটেই, প্রতিটি বুথ স্তরের কার্যালয়গুলিতেও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নেতা-কর্মীরা ।

বোলপুর দলীয় কর্যালয়ে এবং শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডিজিটাল জায়ান্ট স্ত্রিনে নেত্রীর ভাষণ শোনানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। সামাজিক দূরত্ব বিধি ও মাস্ক পরেই সকলে বক্তব্য শোনেন। কার্যালয়ে সে সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরী, অভিজিৎ সিংহরা। দুবরাজপুর ছাড়া জেলার বাকি পাঁচ পুর-শহরেও জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা ছিল। প্রজেক্টর লাগানো হয়েছিল রাজনগরে। পথচলতিরাও মমতার ভাষণ শুনেছেন মাইকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন