BJP

সংখ্যালঘু বিরোধী নয়, প্রমাণে তৎপর বিজেপি

এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতাদের কেউ দাবি করেন বিজেপি সংখ্যালঘু বিরোধী দল নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি ও সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২১ ০৭:৪৬
Share:

সিউড়ির রামকৃষ্ণ সভাগৃহে। নিজস্ব চিত্র

তাঁরা যে সংখ্যালঘু বিরোধী নন তা প্রমাণের জন্য আগেই নানা পদক্ষেপ করেছেন। আবার যেন সেই বার্তাই উঠে এলো বিজেপির রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতাদের বক্তব্যে। বুধবার সিউড়ির রামকৃষ্ণ সভাগৃহে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রশিক্ষণ শিবির কর্মসূচি হয়। পাশাপাশি ওই মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক বাসিন্দাই বিজেপিতে যোগদান করেন। ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলি হোসেন, বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা-সহ অন্যরা।

Advertisement

এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতাদের কেউ দাবি করেন বিজেপি সংখ্যালঘু বিরোধী দল নয়। কেউ আবার সংখ্যালঘুদের জন্য বিজেপি কী কী করেছে সেই নিয়ে ব্যাখ্যা দেন। অনেকে আবার উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যের উদাহরণ টেনে দাবি করেন সেখানকার সংখ্যালঘু বাসিন্দারা পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক বেশি ভাল আছেন। প্রত্যেকের বক্তব্যের সারমর্মই ছিল বিজেপি ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের লাভ হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আসন্ন বিধানসভা ভোটে জয়ের ক্ষেত্রে বীরভূম জেলায় সংখ্যালঘু ভোট নির্ণায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। সেকথা লোকসভা ভোটেই টের পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। লোকসভার চিত্র যেন পুনরাবৃত্তি না হয় তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীদের দলে টেনে নিজেদের ‘সংখ্যালঘু দরদি’ বলে প্রমাণ করাই বিজেপির লক্ষ্য বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে জেলায় একাধিক কর্মসূচি নিতেও দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। সম্প্রতি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভামঞ্চ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষকে দলে যোগদান করায় বিজেপি। ওই সভাতেই শেখ সামাদের মেয়েকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে সমস্ত বিজেপি কর্মী তৃণমূলকর্মীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁদের সংবর্ধনাও জানানো হয়। বেশ কয়েকবার সংখ্যালঘুদের এই যোগদান করানোর কর্মসূচি হয়েছে। বিজেপির অন্দরের খবর, ‘মুষ্টিভিক্ষা’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে নেতারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাধিক কৃষকের বাড়ি যাবেন।

তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ অবশ্য বিজেপির এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এ সব হল কুমিরের কান্না। সাধারণ মানুষ সব বোঝেন। তাই তাঁরা বিজেপিতে যাবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন