BJP

বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নালিশ

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে মণিহারার একটি স্কুলের শতবর্ষ উপলক্ষে স্কুল ভবন রং করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাশীপুর শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২০ ০৪:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্কুলের শতবর্ষ উপলক্ষে ভবন রং করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন পঞ্চায়েত থেকে। স্থানীয় এক দোকানদারের থেকে কিনেছিলেন রং, চুন ও সিমেন্ট। কিন্তু চার বছর হয়ে গেলেও দাম না মেটানোর অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার বকেয়া টাকার দাবি নিয়ে পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকের মণিহারা পঞ্চায়েতে আবেদন করেছেন মনোজ কর্মকার নামে এক ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত দেবদাস মুখোপাধ্যায় বিজেপির কাশীপুরের একটি মণ্ডলের সহ-সভাপতি। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত পুরো টাকা না দেওয়ায় ওই ব্যবসায়ীর বকেয়া মেটাতে পারেননি। মণিহারা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান অণিমা মাহাতো বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”

Advertisement

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে মণিহারার একটি স্কুলের শতবর্ষ উপলক্ষে স্কুল ভবন রং করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো কাজের ‘কোটেশন’ দিয়েছিল পঞ্চায়েত। এক লক্ষের কম টাকার কাজ হওয়ায় শিল্পী হিসেবে দেবদাসবাবু আবেদন করে কাজের বরাত পেয়েছিলেন। মণিহারা গ্রামেরই বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনোজ কর্মকারের দাবি, ২০১৬ সালের মে মাস থেকে কয়েক দফায় রং, চুন ও কিছু সিমেন্ট নিয়েছিলেন দেবদাসবাবু। মোট বিল হয়েছিল ২১ হাজার টাকার বেশি।

মনোজবাবুর অভিযোগ, ‘‘চার বছর আগে জিনিস নিয়ে এখনও টাকা মেটানি দেবদাসবাবু। অনেক বার তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু তিনি বরাবর দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত এখনও কাজের টাকা না দেওয়ায় বকেয়া মেটাতে পারছেন না।” তাঁর দাবি, সম্প্রতি নিজে পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, অনেক আগেই স্কুল ভবন রং করার টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনোজবাবু বলেন, ‘‘আমার ছোট ব্যবসা। ২১ হাজার টাকার মানে অনেকটাই। বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছি।’’

Advertisement

ওই ব্যবসায়ীর থেকে জিনিসপত্র নেওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন দেবদাসবাবু। তিনি দাবি করেন, ‘‘স্কুল রং করার জন্য আমার বিল হয়েছিল ৯৯ হাজার টাকার মতো। পঞ্চায়েত দিয়েছে ৫০ হাজার টাকা। তাই মনোজবাবুকে টাকা মেটাতে পারছি না।” তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মণিহারা পঞ্চায়েতের এক আধিকারিক দাবি করেন, ‘‘দেবদাসবাবুর কাজের বিল হয়েছিল ৫০,৩৩৮ টাকা। ২০১৬ সালেই সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।” এ দিকে, ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুশান্ত মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘বিজেপির নেতাদের আসল চরিত্র ক্রমশই সামনে আসছে। পঞ্চায়েত চার বছর আগেই টাকা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু দেবদাসবাবু এক জনের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছেন না।’’ দেবদাসবাবু বিজেপির যে মণ্ডলের সহ-সভাপতি, সেটির সভাপতি সৌরীন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন