নেতাকে হুমকি দিয়ে পোস্টার

মাওবাদীদের নাম করে এক বিজেপি নেতাকে খুনের হুমকি দেওয়ার পোস্টার পড়ল আড়শার ঝুঁঝকা গ্রামে দলের পার্টি অফিসের দেওয়ালে। শনিবার সকালে সাদা কাগজে লাল কালিতে হাতে লেখা ওই পোস্টার দেখা যায়। পুলিশ পোস্টারটি সরাতে গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আড়শা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮ ০১:১০
Share:

তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

মাওবাদীদের নাম করে এক বিজেপি নেতাকে খুনের হুমকি দেওয়ার পোস্টার পড়ল আড়শার ঝুঁঝকা গ্রামে দলের পার্টি অফিসের দেওয়ালে। শনিবার সকালে সাদা কাগজে লাল কালিতে হাতে লেখা ওই পোস্টার দেখা যায়। পুলিশ পোস্টারটি সরাতে গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। অনেকদিন পর আড়শার গ্রামে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার মেলায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালেও ওই পোস্টার আদৌ মাওবাদীদের কি না, তা নিয়ে সংশয়ী স্থানীয়রাই।

Advertisement

পোস্টারে হুমকি দেওয়া বিজেপির আড়শা মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস মিশ্রও পুলিশি তদন্তের দাবি তুলেছেন। জেলা পুলিশের এক কর্তাও বলেন, ‘‘পোস্টারটির সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ দেবাশিসের দাবি, এই পোস্টার-কাণ্ডের পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

দেবাশিসের বাড়ি ঝুঁঝকা গ্রামে দলের পার্টি অফিসের কাছেই। তিনি বলেন, ‘‘সকালে বাবা পোস্টারটি দেখতে পেয়ে আমাকে ডেকে তোলে। কিন্তু, পোস্টারের ধরন দেখে এই ঘটনার সঙ্গে মাওবাদী যোগ আদৌ রয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’

Advertisement

ঘটনাচক্রে, পঞ্চায়েত ভোটে এই এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। স্থানীয় হেঁসলা পঞ্চায়েত থেকে এলাকার জেলা পরিষদের আসনটিও জিতে নিয়েছে বিজেপি। আড়শা পঞ্চায়েত সমিতিতেও ভাগ বসিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল ১০টি ও বিজেপি ন’টি আসন পেয়েছে। বাকি চারটি আসনের মধ্যে দু’টি কংগ্রেস, একটি বামফ্রন্ট ও একটি আসন গিয়েছে নির্দলের ঝুলিতে। জঙ্গলমহলের আড়শা পঞ্চায়েত সমিতি দখলে যেমন মরিয়া তৃণমূল, তেমনই বিরোধীদের সমর্থন নিয়ে এই পঞ্চায়েত সমিতি দখলের চেষ্টা করছে বিজেপিও। দেবাশিস সেই কাজে যুক্ত বলে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। দেবাশিসের দাবি, ‘‘কোনও দল আমাদের যদি বাইরে থেকে সমর্থন করে, আমরাও সমিতিতে ক্ষমতায় আসতে পারি। কিন্তু এ ভাবে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টার দেওয়া— এগুলো কী রকম রাজনীতি?’’

বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি করার জন্যই দেবাশিসকে ওই হুমকি-পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট এর পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। কোনও ঘটনা ঘটলে যাতে দায় মাওবাদীদের উপর বর্তায়, তাই ওই পোস্টারে মাওবাদীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।’’ তবে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক নবেন্দু মাহালির দাবি, ‘‘বিজেপির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। প্রচারের আলোয় আসার জন্যে এ সব করছে।’’ জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন