গুলির নালিশের পরেই তৃণমূলে যোগ

পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতে যাওয়ার পথে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে তিনি জখম হয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। পরের দিন মঙ্গলবারই রঘুনাথপুর ১ ব্লকের খাজুরা পঞ্চায়েতের সেই বিজেপি সদস্য আদিত্য মণ্ডল যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁর সঙ্গেই দলবদল করেন বিজেপির আর এক সদস্য প্রতিমা সূত্রধরও। নিতুড়িয়া ব্লকের সড়বড়িতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে তাঁর যোগ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫৫
Share:

তৃণমূলের পতাকা। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতে যাওয়ার পথে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে তিনি জখম হয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। পরের দিন মঙ্গলবারই রঘুনাথপুর ১ ব্লকের খাজুরা পঞ্চায়েতের সেই বিজেপি সদস্য আদিত্য মণ্ডল যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁর সঙ্গেই দলবদল করেন বিজেপির আর এক সদস্য প্রতিমা সূত্রধরও। নিতুড়িয়া ব্লকের সড়বড়িতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে তাঁর যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রঘুনাথপুরের তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি।

Advertisement

নির্বাচনে খাজুরা পঞ্চায়েতে ভরাডুবি হয় তৃণমূলের। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা হারানোই শুধু নয়, এখানে একটিও আসনে পারেননি শাসকদলের প্রার্থীরা। ১২টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৯টি আসনে। সিপিএমের দখলে যায় তিনটি আসন। সোমবার ছিল এই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। অভিযোগ সকাল থেকেই তৃণমূল আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে নির্বিচারে বোমা মারে গ্রামের রাস্তায়। বোমার শব্দে বাইরে বেরিয়েছিলেন আদিত্যবাবু। সেই সময়েই গুলির আঘাতে জখম হন তিনি। প্রসঙ্গত খাজুরা পঞ্চায়েতে সোমবার বোর্ড গঠন হয়নি। প্রশাসনের দাবি, সে দিন পঞ্চায়েতের কোনও সদস্যই পঞ্চায়েত কার্যালয়ে উপস্থিত হননি বলেই বোর্ড গঠন করা যায়নি।

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে বিরোধী দলের সদস্যদের ভাঙিয়ে নিজেদের দলে আনছে। খাজুরা গ্রামের তাদের দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে ভয় দেখিয়েই তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘রঘুনাথপুরে তৃণমূল গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এই ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।” তবে এ দিন দুই সদস্য দাবি করেছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্রবাবুর দাবি, ‘‘আদিত্যবাবুদের মতো অনেকেই ভুল বুঝে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এখন তারা বুঝতে পারছেন, উন্নয়ন করতে হলে তৃণমূল ছাড়া গত্যন্তর নেই। তাই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন