এসপি-র গাড়ি দেখে ‘হায় হায়’ স্লোগান

বিজেপি সূত্রে খবর, এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলার প্রতিটি ব্লকে পথ অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। পরে সেই কর্মসূচি বদলে এসপি দফতরের সামনে ধর্নার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি ও নানুর শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৫৭
Share:

রোষ: এসপি-র গাড়ির পাশে বিজেপি কর্মীরা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

নানুরে বিজেপি কর্মীকে গুলি করে খুনের প্রতিবাদে সোমবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে শামিল হলেন দলের নেতা-কর্মী-সমর্থেকরা। সদর সিউড়িতে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে হয় ধর্না। এসপি শ্যাম সিংহের গাড়ি দেখে ‘হায় হায়’ স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা।

Advertisement

বিজেপি সূত্রে খবর, এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলার প্রতিটি ব্লকে পথ অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। পরে সেই কর্মসূচি বদলে এসপি দফতরের সামনে ধর্নার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিন সকাল থেকেই ওই দফতরের সামনে ভিড় জমান বিজেপি কর্মীরা। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় ধর্না। চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। তাতে শামিল হন বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, জেলা সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডলেরা। জেলা বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘সাত দিন ধরে এসপি অফিসের সামনে এই কর্মসূচি চলবে। দলের রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতৃত্বও তাতে যোগ দেবেন।’’ বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে এসপি দফতরের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এ দিন কঠোর করেছিল পুলিশ।

গুলি করে দলীয় কর্মীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং এবং এক পুলিশ অফিসারের অপসারণের দাবিতে নানুর থানায় বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি সমর্থকেরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে গুলিবিদ্ধ হন নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই। অভিযোগ, তাঁর বাবাকেও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। দলীয় পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে ঝামেলার জেরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ স্বরূপবাবু এবং তাঁর বাবাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখান থেকে স্বরূপবাবুকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরের দিন কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

সোমবার সকাল ১০টা থেকে নানুর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। দলের জেলা যুব মোর্চার সম্পাদক অতনু নাগ, ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ, ওবিসি সেলের জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সোমনাথ ঘোষের নেতৃত্বে শ’দুয়েক কর্মী-সমর্থক তাতে যোগ দেন৷ বিনয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘বাসাপাড়া পুলিশের মদতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের দলের কর্মীকে গুলি করে খুন করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।’’ পুলিশ গুলিচালনার ঘটনার সময় উপস্থিত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন