লাভপুরে মৃত বিজেপি কর্মী। —ফাইল চিত্র
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর পরে ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও দলীয় কর্মী খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার বদলে পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে— এমনই অভিযোগ তুলে লাভপুরে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার সন্ধ্যায় ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে একটি গাছে লাভপুরের দাঁড়কা গ্রামের তাপস বাগদি নামে এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাজনৈতিক আক্রোশের জেরে তৃণমূলের লোকেরা তাঁকে খুন করেছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃতের বাবা আনন্দ বাগদি সোমবার ৫ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তাই খুনের অভিযোগ টেকে না।
এ দিন মৃত যুবকের বাড়িতে যান লকেট। সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় চৌধুরী, জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। লকেট বলেন, ‘‘তাপসের বাবা-মা বলছেন তাঁদের ছেলে আত্মহত্যা করেননি। কিন্তু শাসকদলের নেতারা বলছেন, উনি আত্মঘাতী হয়েছেন। একই সুরে কথা বলছেন পুলিশ সুপার।’’ তাঁর অভিযোগ, পুরুলিয়াতেও একই কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে খুনের তত্ত্ব সামনে এসেছে। লকেটের মন্তব্য, ‘‘শাসকদলের পুতুল হয়ে কাজ করছে পুলিশ-প্রশাসন। তাই সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’ লকেট আরও বলেন, ‘‘খয়রাশোলে দীপক ঘোষ খুন হয়েছেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে। আর বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে।’’
এ দিন আনন্দবাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকেরা অভিযোগ তুলতে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশও আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে চাপ দিচ্ছে।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী জানান, ‘‘চাপ দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আইন আইনের পথে চলবে।’’ পুলিশ জানায়, ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে।