মানবাজারে রাস্তায় বিজেপির মিছিল
Vidhan Sabha

সব আসনেই জেতার দাবি

তৃণমূলের জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, ‘‘ওঁরা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। স্বপ্ন দেখা ভাল। তবে এই স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০৪:২০
Share:

বিজেপির মিছিলে জেলা ও রাজ্যের নেতারা। নিজস্ব চিত্র

লোকসভা ভোটে তাদের দখলে এসেছে পুরুলিয়া কেন্দ্র। এ বার বিধানসভা ভোটে জেলার সব ক’টি বিধানসভাই দখলে আসবে বলে বুধবার মানবাজারে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

মানবাজার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড চত্বরে আয়োজিত ওই পথসভায় রাজু কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আর ক’টা মাস অপেক্ষা করুন। দুর্নীতিগ্রস্ত এই সরকারের মুখোশ খুলে গিয়েছে। নির্বাচনে জেলার ন’টি আসনই বিজেপি দখল নেবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অমিত শাহের ভূত তাড়া করছে। তাই অমিত শাহের সফরের পরেই তাঁকে বাঁকুড়ায় সভা করতে হল।’’ পুলিশের ‘ভূমিকা’রও কড়া সমালোচনা করেন তিনি।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, ‘‘ওঁরা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। স্বপ্ন দেখা ভাল। তবে এই স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। জেলায় তাঁদের সাংসদ থাকলেও, কোথাও এ পর্যন্ত একটা সৌরবাতিও স্থাপন করতে পারেনি। ফলে, তাঁদের কাজের দৌড় কতটা, তা সবাই বুঝে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে বাঁকুড়ায় গিয়েছেন।’’

Advertisement

যদিও পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘জঙ্গলমহল এলাকায় রেললাইন চালুর দাবিতে আমরা রেল মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু রাজ্য সরকার তাতেও অসহযোগিতা করে চলেছে।’’

ওই সভায় বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী দাবি করেন, ‘‘সম্প্রতি জেলার এক কয়লা মাফিয়া দুর্নীতির জালে জড়িয়েছেন। সবাই বুঝে গিয়েছেন কয়লার টাকা, বালির টাকার ভাগ কোথায় যায়।’’ নাম না করে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘এখানে এক বড় বালি চোর আছে। আমরা তাকেও ছাড়ব না।’’

এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওদের হাতে কেন্দ্রের এজেন্সি রয়েছে। তদন্ত করে চোরদের ধরুক। তাতে অসুবিধা কী? আসলে এ সব কথা বলে বিজেপি নেতারা কর্মীদের কাছে হিরো হতে চাইছেন।’’ সভার আগে মানবাজারের ইন্দকুড়ি থেকে মিছিল দাসপাড়া, চৌমাথা, পোদ্দারপাড়া, থানামোড় হয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন