আটকে রাখা গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
একে মান নিম্ন, তার উপরে ওজনে কম। এই অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রে চাল সরবরাহকারী ঠিকাদারের ট্রাক আটকে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিন ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বর থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের ২১৩ নং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের চাল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে ব্লক সুসংহত শিশু বিকাশ দফতর। মূলত তিনটি ধাপে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে চাল পৌঁছয়। ময়ূরেশ্বর ১ নং ব্লকে একই সঙ্গে গুদাম এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাল পৌঁচ্ছে দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছেন আবুল নাসের মহম্মদ মুস্তাক। এ দিন ৪৪ বস্তা চাল নিয়ে তাঁর ট্রাক কৃষ্ণনগরের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পৌঁছতেই বিপত্তি শুরু হয়। ওই কেন্দ্রের বরাদ্দ ৭ বস্তা চাল নামতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা।
কমল সেখ, মুনতাজ আলিদের অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের কর্মীর সঙ্গে যোগসাজস করে খারাপ চাল দেওয়া হচ্ছিল। আর সেই চালের ভাত খেয়ে ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। তাই এ দিন পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখি চালের মান খারাপ তো বটেই, ৫০ কেজির বস্তায় ৭ কেজি করে চাল কম।’’
ওই কেন্দ্রের কর্মী অপর্ণা প্রামানিক অবশ্য যোগসাজসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। কেউ কোনও অভিযোগও করেননি। এরপর থেকে গ্রামবাসীদের দিয়ে গুণমান যাচাইয়ের পরেই চাল নেওয়া হবে।’’
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আবুল নাসের মহম্মদ মুস্তাক। তিনি বলেন, ‘‘আমার দায়িত্ব গুদামে চালের রক্ষণাবেক্ষণ-সহ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া। গুণমান এবং ওজনের বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’’
ব্লক সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক শান্তি বাগদি বলেন, ‘‘আমরা চালের ওজন এবং গুণগত মান যাচাই করে নিয়েছিলাম। ওই কেন্দ্রের কর্মী এবং সুপারভাইজারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরে অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’