snake

ICDS Centre: সাপের দেহাংশ আইসিডিএস কেন্দ্রের খিচুড়িতে! বিষ্ণুপুরের হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে ১১ শিশু

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে মিলেছে সাপের দেহাংশ। এই অভিযোগে আতঙ্ক বিষ্ণুপুরে। খিচুড়ির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২২ ১৮:৩৫
Share:

খিচুড়িতে সাপের দেহাংশ থাকার অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না করা খাবারে পাওয়া গিয়েছে সাপের দেহাংশ। এমনই অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের বাগডোবা এলাকায়। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। শিশুদের নিয়ে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হাজির হন অভিভাবকেরা। খাবারে পাওয়া বস্তুটি সাপের দেহাংশ কি না তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

বিষ্ণুপুর শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের বাগডোবা এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ৭০ জন শিশু এবং ২৫ জন প্রসূতিকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সকালে ওই কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করে বিলি করেন অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা। ওই খাবার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এক শিশুকে খেতে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। অভিযোগ সেই সময় খিচুড়ির মধ্যে সাপের দেহাংশ দেখতে পান শিশুটির মা। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে অধিকাংশ শিশুকে নিয়ে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হাজির হন অভিভাবকরা। অন্যান্যদের তেমন উপসর্গ না থাকলেও একটি শিশুর বমিভাব থাকায় হাসপাতালে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঘটনায় আতঙ্কিত অভিভাবকেরা। উজ্জ্বলা বিবি নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘অন্যান্য দিনের মতোই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খিচুড়ি এনে ছেলেকে খাইয়েছি। তার পর শুনলাম এক জনের খিচুড়িতে সাপ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে থালায় থাকা খিচুড়ির মধ্যে সাপের দেহাংশ দেখতে পেলাম। এর পর আমার ছেলে এক বার বমি করায় এখন ভয়ে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’’ একই সুর ইশমাতারা বিবি আরও এক শিশুর মায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বাড়িতে আনা খিচুড়িতে কেঁচোর মতো কিছু দেখতে পাই। তার পর পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা দেখে বলেন, ওটা সাপেরই দেহাংশ। এর পর আর সাহস করে বাচ্চাকে খিচুড়ি খাওয়াইনি।’’

Advertisement

এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাগডোবায় যান বিষ্ণুপুর পুরসভার আধিকারিক, মহকুমা এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অসুস্থ শিশুদের দেখতে যান বিষ্ণুপুরের ভারপ্রাপ্ত সিডিপিও জয়ব্রত কুন্ডু। তিনি বলেন, ‘‘ওই কেন্দ্র থেকে শিশু এবং প্রসূতি মিলিয়ে মোট ৬৫ জন রান্না করা খাবার নিয়েছিলেন। পরে খাবারে সাপ বেরোনোর অভিযোগ শুনি। খবর পাওয়ার পরেই আমাদের দফতরের আধিকারিক ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তত ক্ষণে সেই খাবার ফেলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত করা হবে।’’

বিষয়টি নিয়ে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়াল বলেন, ‘‘১১টি শিশুকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কারও তেমন গুরুতর উপসর্গ নেই। উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসার নির্দিষ্ট বিধি অনুযায়ী চিকিৎসা করা হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন