বধূর দেহ উদ্ধার,  ধৃত স্বামী-ননদ

এই ঘটনায় নিহতের বাবা তপন সেন ইলামবাজার থানায় মেয়ের স্বামী, ননদ, শ্বশুর, শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইলামবাজার শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে পরিজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে নিহতের স্বামী ও ননদকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ইলামবাজার থানার হাটতলা এলাকার বুধবারের ঘটনা। এ দিন সকালে খবর পেয়ে পুলিশ হাটতলা এলাকায় বিশ্বজিৎ নন্দীর বাড়ি থেকে তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী রুমা সেনের (নন্দী) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় নিহতের বাবা তপন সেন ইলামবাজার থানায় মেয়ের স্বামী, ননদ, শ্বশুর, শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র ১০ মাস আগে দুবরাজপুর থানার পচিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা তপন সেনের মেয়ে রুমা সেনের সঙ্গে ইলামবাজারের হাটতলার বাসিন্দা নবকুমার নন্দীর ছেলে বিশ্বজিৎ নন্দীর বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিবাদ চলছিল রুমাদেবীর। এ দিন সকালে খবর পেয়ে
হাটতলার বাড়ি থেকে রুমাদেবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের বাবা তপন সেন শ্বশুর নবকুমার নন্দী, শাশুড়ি অপর্ণা নন্দী, জামাই বিশ্বজিৎ নন্দী ও মেয়ের ননদ প্রিয়াঙ্কা সেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নিহতের স্বামী ও ননদকে গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, রুমাদেবী অন্তস্বত্ত্বা ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।

নিহতের বাবা তপনবাবু বলেন, “বিয়ের পর থেকে প্রায়ই মেয়ে ফোন করে বলত, শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছোট ছোট বিষয়ে ঝামেলা করে। ও অন্তস্বত্ত্বা ছিল। আমি ওদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছি। কঠোর শাস্তি চাই।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন