পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘর্ষ অব্যাহত।
বোমা উদ্ধার ঘিরে নানুরে শাসকদলের অন্দরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ওই বোমা মজুত করা হয়েছিল বলে দলেরই একাংশের মত। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নানুর এলাকায় বিরোধীরা কোনও প্রার্থী দিতে না পারায় তৃণমূলের প্রার্থীরাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছেন। কিন্তু, মনোনয়ন জমার সময় থেকেই বিভিন্ন জায়গায় দলের অভ্যন্তরেই প্রার্থীপদ নিয়ে বিবাদ শুরু হয়ে যায়। এক সময় নানুরের যুব নেতা কাজল শেখের অনুগামীদের সঙ্গে বিবাদ ছিল দলের বর্তমান জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরার অনুগামীদের। বিধানসভা নির্বাচনের পরে কাজল নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। তখন ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের অনুগামীদের সঙ্গে গদাধর হাজরার অনুগামীদের বিরোধ তৈরি হয় বলে অন্দরের খবর। পঞ্চায়েতের প্রার্থীপদ নিয়েও জলঘোলা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত আদালতের রায় ঘোষণার পরে বোর্ডগঠন নিয়ে ফের তা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
যুযুধান উভয় পক্ষ প্রধান, উপপ্রধান পদ পেতে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। রায় ঘোষণার দিনেই মিছিল করাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় চণ্ডীপুর গ্রাম। একটি বাড়িতে আগুন এবং কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাটেরও অভিযোগ উঠে। এর মাঝে রবিবার নানুরের পালিটা গ্রামে একটি পুকুরের পাড়ে পোঁতা অবস্থায় ড্রাম-ভর্তি ১০২টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের মুখে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে
পড়ে। বিরোধীদের অভিযোগ, নিজেদের পছন্দসই প্রার্থীদের নিয়ে বোর্ড গঠনের জন্য তৃণমূলই ওই বোমা মজুত করেছে।
গদাধর হাজরা এবং সুব্রত ভট্টাচার্য অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের কথায়, ‘‘আমাদের একটাই গোষ্ঠী। সেটির নাম তৃণমূল। বোর্ড গঠন নিয়েও কোনও দ্বন্দ্ব নেই।’’