গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে আদি বনাম নব্য তৃণমূলের বোমাবাজির জেরে তেতে উঠল নানুরের চণ্ডীপুর গ্রাম। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ মানেননি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় ওই গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ছিল। তারই জেরে বছর চারেক আগে শেখ ইলিয়াস নামে ওই গ্রামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। অভিযোগ ওঠে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তার পর থেকেই বেশ কিছু সিপিএম কর্মী-সমর্থক গ্রামছাড়া ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারা তৎকালীন স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃমমূলের বর্তমান জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরার হাত ধরে তৃণমূলে ঢোকেন। কিন্তু এলাকার যুব নেতা কাজল শেখের দাপটে এত দিন তারা গ্রামে ঢুকতে পারেননি। কিন্তু কাজল সম্প্রতি কোণঠাসা হয়ে পড়ায় দিন দশেক আগে গ্রামে ঢুকেছেন তারা। তার পরই গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের আদি তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘাত শুরু হয়। তারই জেরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘণ্টাখানেক ধরে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিন অবশ্য চেষ্টা করেও গদাধরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওই ঘটনার সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। গ্রাম্য বিবাদের কারণে বচসা থেকে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পেয়েছি।’’ পুলিশ জানায়, ঘটনায় এ দিন দু’পক্ষের সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে বোমাবাজির কারণ জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।