মন্দিরেও। বার্তা। নিজস্ব চিত্র
এ বার মন্দিরে বাল্যবিবাহ রুখতে উদ্যোগী হল চাইল্ড লাইন। বাধা পাওয়ার আশঙ্কায় সামাজিক বিয়ের পরিবর্তে কিছু অভিভাবকের মধ্যে গোপনে মন্দিরে বাল্যবিবাহ দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তার জন্য বোলপুরের কঙ্কালীতলা, লাভপুরের ফুল্লরাতলার মতো পীঠস্থানগুলিতে ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রচার চালানোর পাশাপাশি নজরদারিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নাবালিকা বিয়ে রুখতে এত প্রচার সত্ত্বেও জেলায় ১৮ বছরের কমবয়সী মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা যথেষ্টই বেশি। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এমন বিয়েতে মেয়েকে শারীরিক ভাবে বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, তা জানার পরেও প্রতিনিয়ত নাবালিকাদের বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিছু ঘটনা প্রশাসনের নজরে আসে। তা রোখা যায়। তবে চাইল্ড লাইন সূত্রের খবর, যে ঘটনা সামনে আসে, তা একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। অধিকাংশ নাবালিকার বিয়ের কোনও খবরই প্রশাসন পায় না। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে বছরে প্রচুর সংখ্যক নাবালিকা বিয়ে হয়ে থাকে। তারই মধ্যে অন্যতম বোলপুরের কঙ্কালীতলা। সেখানে যাতে কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা না ঘটে, তা নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল চাইল্ড লাইন। তার পরেই ওই পদক্ষেপ। চাইল্ড লাইনের পক্ষে লাভপুর এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিপ্লব ঘোষ জানান, সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলিকে ওই উদ্যোগে সামিল করা হচ্ছে।
কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ওহিদুদ্দিন শেখ বলছেন, ‘‘আপাতত বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে বোর্ড লাগানো হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে পুরোহিতদেরও। ভবিষ্যতে পাত্রপাত্রীর বয়সের প্রমাণপত্রের নথি রেখে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা প্রশাসনের সঙ্গে অলোচনা করে স্থির করব।’’ একই বক্তব্য চাইল্ডলাইনের কো-অর্ডিনেটর দেবাশিস ঘোষেরও।