BJP

দুই মণ্ডলে সভাপতি বদল ঘিরে প্রকাশ্যে ‘গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব’

ফের গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বিজেপিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইঁদপুর ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি

মণ্ডল সভাপতি বদলকে কেন্দ্র করে ফের গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বিজেপিতে। রবিবার ইঁদপুরে বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা রাস্তায় নেমে দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, “যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে বিজেপি দল চলে।”

Advertisement

শনিবার তালড্যাংরার এক কর্মিসভায় বিজেপির বিবেকানন্দবাবু ঘোষণা করেন— সিদ্ধেশ্বর কুণ্ডুর বদলে ছাতনা (৩) মণ্ডলের সভাপতি করা হয়েছে পরমেশ্বর মণ্ডলকে। ইঁদপুর (১) মণ্ডলের সভাপতি বিবেকানন্দ সাহানাকে সরিয়ে ওই দায়িত্বে আনা হয়েছে তারকনাথ গোস্বামীকে। তিনি বলেন, “সংগঠন মজবুত করতেই রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এই বদল।

সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই এলাকার বিজেপি কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কিছু দিন আগেই ছাতনা (৩) মণ্ডল সভাপতি সিদ্ধেশ্বরবাবুর সঙ্গে বিবেকানন্দবাবুর ফোনে কথা কাটাকাটির একটি রেকর্ডিং ভাইরাল হয় (সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি)। সেই ঘটনার জেরেই তাঁর মণ্ডল সভাপতির পদ গেল বলে দলের কর্মীদের একাংশের মত। যদিও এ ব্যাপারে সিদ্ধেশ্বরবাবু রবিবার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘দল যা দায়িত্ব দেবে তা মেনে চলব।”

Advertisement

তবে ইঁদপুরের মণ্ডল সভাপতি বদলের পরে এ দিন বাংলা জয়েন্ট মোড়ে কিছু বিজেপি কর্মী বিক্ষোভ দেখান। সেখানে জেলা সভাপতি পদ থেকে বিবেকানন্দবাবুর অপসারণ দাবিতে স্লোগান ওঠে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, “জেলা সভাপতি নিজের পছন্দ মতো লোককে দায়িত্ব দিয়ে গোষ্ঠিবাজি করছেন। প্রকৃত কর্মীদের আড়ালে ঠেলা হচ্ছে।”

গত লোকসভা নির্বাচনের পরে জেলায় বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলের সময়েও একই ভাবে নানা জায়গায় মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ছাতনার পরমেশ্বর মণ্ডল ও ইঁদপুরের তারকনাথ গোস্বামী বলেন, “দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করব। দলের সংগঠন মজবুত করাই আমাদের আসল লক্ষ্য।” গোটা ঘটনাটিকে কটাক্ষ করে জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরার দাবি, “বিজেপির নেতা-কর্মীরা উৎশৃঙ্খল। এটা মানুষ জেনে গিয়েছেন।” বিজেপির রাজ্য নেতা তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, “দলে সাংগঠনিক রদবদল হয়েই থাকে। তৃণমূলের এ নিয়ে ভাবার দরকার নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন