পুরুলিয়া-কোটশিলা শাখা

রেলগেট বন্ধ, সমস্যায় দুই ব্লকের বাসিন্দারা

ধাপে ধাপে সমস্ত প্রহরীবিহীন রেলগেট বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রেল। বন্ধ হয়েছে পুরুলিয়া-কোটশিলা শাখায় গড়জয়পুর স্টেশনের কাছে একটি রেলগেট। আর তার জেরেই সমস্যায় পড়েছেন জয়পুর এবং আড়শা ব্লকের বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়পুর শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৬ ০৬:৩৪
Share:

ধাপে ধাপে সমস্ত প্রহরীবিহীন রেলগেট বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রেল। বন্ধ হয়েছে পুরুলিয়া-কোটশিলা শাখায় গড়জয়পুর স্টেশনের কাছে একটি রেলগেট। আর তার জেরেই সমস্যায় পড়েছেন জয়পুর এবং আড়শা ব্লকের বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

জয়পুর থাকে আড়শা যাওয়ার রাস্তায় ওই রেলগেটটি পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ মে আড়াআড়ি ভাবে গার্ডরেল বসিয়ে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভাড্ডি, শ্যামপুর, তুন্তা, মুকুন্দপুর, ধবনি, রোহিনগাড়া, লিটিয়াডি, বালিয়াগোড়া, চিটাহি, জাহাজপুর, বাঁধডি, কুলাড়া, খয়েরটাঁড়, বড়াম, ঠাকুরসীমা, জারাটাঁড়, বৃদ্ধিটাঁড়-সহ প্রায় ৩০টি গ্রামের বাসিন্দারা ওই রাস্তা দিয়ে ব্লক সদর জয়পুরে যাতায়াত করেন। রেলগেটটি বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা অম্বুজ হাজরা, চণ্ডীচরণ মুখোপাধ্যায়দের দাবি, আড়শা ও জয়পুরের সীমানায় অবস্থিত দেউলঘাটায় এই রাস্তা দিয়ে যান পর্যটকেরা। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় অসুবিধায় পড়বেন তাঁরাও।

ওই রেলগেট থেকে দূরে রাইপুর এলাকায় একটি বিকল্প রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর ফলে অনেকটা ঘুরপথে যাতায়াত করতে হবে। ফলে হয়রানি বাড়বে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সমস্যার কথা জানিয়ে আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম-এর কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। এলাকার দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও সেই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। তাঁদের দাবি, বন্ধ রেলগেটটি দিয়ে অন্তত সাইকেল এবং মোটরসাইকেল যাতায়াতের সুযোগ করে দেওয়া হোক। রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তাঁরা দাবি করেন।

Advertisement

বাসিন্দারা এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন পুরুলিয়ার সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতোকেও। মৃগাঙ্কবাবু বলেন, ‘‘রেলকর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার আর্জি জানিয়েছি।’’ রেলগেটটি যদি বন্ধ করতেই হয় তাহলে সেখানে সেখানে আন্ডারপাস নির্মাণ করা যায় কি না তা নিয়েও রেলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে সাংসদ জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন