থানায় অভিযোগ ছেলের

‘ডাইনি’ অপবাদে মার বধূকে

‘ডাইনি’ অপবাদে এক আদিবাসী বধূকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁরই ভাসুর, দেওরের বিরুদ্ধে।এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন ওই মহিলার ছোট ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বধূকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘ডাইনি’ অপবাদে এক আদিবাসী বধূকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁরই ভাসুর, দেওরের বিরুদ্ধে।

Advertisement

এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন ওই মহিলার ছোট ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বধূকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও রাত পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি।

শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর পঞ্চায়েতের বড়ডাঙা গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের এক জন দিন দশেক আগে সর্পদংশনে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারের লোকেরা নানা কুকথা বলত বছর পঞ্চান্নর ওই বধূকে। তাঁর ছোট ছেলের অভিযোগ, কাকা-জেঠুর পরিবারের লোকজন বেশ কয়েকবার মাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।

Advertisement

এ দিন দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে দেওর এবং ভাসুরের পরিবারের লোকেরা চড়াও হয় ওই বধূর উপরে। তাঁর ছোট ছেলের কথায়, ‘‘বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করছিলাম। এমন সময় প্রতিবেশীদের কয়েক জন এসে খবর দেয়, মাকে কাকা এবং জেঠুর পরিবারের লোকজন মারধর করছে। ছুটে গিয়ে দেখি, বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় মা পড়ে আছেন। মাথা থেকে সমানে রক্ত ঝরছে।’’ প্রতিবেশীদের সহায্যে তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে শুয়ে ওই বধূ কোনও মতে বলেন, ‘‘কুড়ুল, ইট, লাঠি মারধর করেছে আমারই আত্মীয়েরা।’’

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, বছর দু’য়েক আগে রোগেভুগে মারা যান ওই বধূর ভাসুর। ওই মৃত্যুর জন্যেও এই বধূকে দায়ী করা হয়েছিল। দিন দশেক আগে পরিবারের আরও এক জনের মৃত্যু হলে আবারও রোষ গিয়ে পড়ে ওই বধূর উপরে। সেই আক্রোশেই মারধর বলে অনুমান পুলিশের।

আদিবাসী সমাজের মধ্যে কুসংস্কার দূর করতে বছরভর নানা কর্মসূচি নেয় প্রশাসন। তারপরেও কুসংস্কার যে রোখা যায়নি এ দিনের ঘটনাই তার প্রমাণ। দীর্ঘ দিন ধরে এই ব্যাপারে কাজ করে আসছেন শিক্ষক শিবু সরেন। তাঁর মনে হয়েছে, “এ বার আর এলাকা নয়। ঘরে ঘরে ঢুকে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সে কাজে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।’’ এমন ঘটনা রুখতে, ওই এলাকায় শনিবার সচেতনতা কর্মসূচি নিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী বুদ্ধিজীবী সমাজ’।

জয়ী তৃণমূল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল। মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য্য জানান, মনোনয়ন জমার শেষ দিন ছিল। তৃণমূল সমর্থিত ছ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন