শিশু চুরির চেষ্টার নালিশ বান্দোয়ানে

ওই চত্বরে ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী বরুণা মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘লোকটা কপালে সিঁদুরের লম্বা টিপ ছিল। খুব ঘামছিলওয় প্রথমে ভেবেছিলাম, হেমালের পরিবারের কেউ। কিন্তু সাগেনমণিকে দেখে পালানোয় বুঝি তা নয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ০২:৫৩
Share:

আতঙ্ক: মা ও শিশু। নিজস্ব চিত্র

ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি থাকা এক শিশুকে চুরির চেষ্টার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে ঘিরে রবিবার সকালে বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হুলস্থূল পড়ে যায়। পরে থানা থেকে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।

Advertisement

ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরেই রয়েছে পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র। অপুষ্টির সমস্যা নিয়ে সেখানে ২৪ জুন থেকে ভর্তি রয়েছে বান্দোয়ানের কুচিয়া পঞ্চায়েতের বালিডি গ্রামের বাসিন্দা কর্মু হেমব্রমের দেড় বছরের ছেলে হেমাল। সঙ্গে রয়েছে ওই শিশুটির মা সাগেনমণি। তাঁর অভিযোগ, রবিবার সকালে ওই চত্বরে আরও কয়েকটি শিশুর সঙ্গে তাঁর ছেলে খেলছিল। তিনি কিছুটা দূরে অন্য এক শিশুর মায়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন।

তাঁর কথায়, ‘‘আমি হেমালের দিকে যাচ্ছিলাম। সেই সময় দেখি একটা লম্বা লোক আমার ছেলেকে কোলে তুলে নিয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম কোনও স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু এখানে সাধারণত মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরাই থাকেন। আমি সামনে গিয়ে ছেলেকে ডাকতে হেমাল দু’হাত বাড়িয়ে আমার কোলে আসতে চায়। তাই দেখে লোকটা ভূত দেখার মতো চমকে উঠে ছেলেকে কোল থেকে নামিয়ে এক প্রকার ছুঁড়ে দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেল।’’ তখনই তিনি বুঝে যান, কিছু গোলমাল রয়েছে।

Advertisement

ওই চত্বরে ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী বরুণা মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘লোকটা কপালে সিঁদুরের লম্বা টিপ ছিল। খুব ঘামছিলওয় প্রথমে ভেবেছিলাম, হেমালের পরিবারের কেউ। কিন্তু সাগেনমণিকে দেখে পালানোয় বুঝি তা নয়।’’

শিশুটির বাবা কর্মু বলেন, ‘‘সম্ভবত লোকটি আমার ছেলেকে চুরির মতলবে কোলে তুলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কপাল জোরে ওর মা উপস্থিত না হলে কী যে ঘটত, কে জানে!’’

বিএমওএইচ জয়দেব সোরেন বলেন, ‘‘লোকটি কী উদ্দেশে ওই শিশুটিকে কোলে তুলেছিল, আর কেনই বা পালিয়ে গেল স্পষ্ট নয়। পুলিশকে নজরদারি বাড়াতে বলেছি।’’

তিনি জানান, বর্ণনা অনুযায়ী ওই ব্যক্তির খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও অভিযোগ হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন