—প্রতীকী চিত্র।
ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক কলেজ শিক্ষক। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুরের হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে। তিনি প্রাণিবিদ্যার আংশিক সময়ের শিক্ষক। বাড়ি সিউড়িতে।
তবে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন পুরনো এই কলেজের কর্তৃপক্ষ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কলেজের সঙ্গে যুক্ত এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগকে ওঠায় শিক্ষমহলও বিস্মিত। তাঁদের কথায়, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করলেও ওঁর বিরুদ্ধে আগে কেউ এমন অভিযোগ তোলেনি। আবার ছাত্রীর অভিযোগও গুরুত্ব দিয়ে এবং সহমর্মিতার সঙ্গে দেখা উচিত। আমরা চাই, সত্যি ঘটনা সামনে আসুক।’’ অধ্যক্ষ গৌতম চট্টোপাধ্যায় কলেজে ছিলেন না। টিটার-ইন-চার্জ দীপিকা সাহা বলেন,‘‘পুলিশ তদন্ত করে সত্যিটা বের করুক।’’
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী ছাত্রী বিজ্ঞান বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পাঠরত। এ দিন দুপুর একটা থেকে দেড়টার মধ্যে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসে শুধু মাত্র অভিযুক্ত শিক্ষক এবং ওই ছাত্রী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সামনে পরীক্ষা ও ইদ থাকায় বাকি ছাত্রছাত্রীরা কেউ আসেনি। ল্যাবে ওই শিক্ষক ছাড়াও এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। প্রথমে কিছু হয়নি। ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট সরে যেতেই আমার সঙ্গে অসভ্যতা শুরু করেন ওই শিক্ষক। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে আমি ওখানে থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হই।’’
ক্লাস থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসার সময় ছাত্র সংসদের কার্যালয়ের সামনে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। তাঁকে সব জানা ওই ছাত্রী। ছাত্র সংসদ ঠিক করে এর বিহিত চাইতে হবে। অভিযোগকারিণীও শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন। এর পরেই ওই শিক্ষকের গ্রেফতারির দাবিতে কলেজে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। বিকেল ৫টা নাগাদ পুলিশ কলেজে এসে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
ওই ছাত্রীর কথায়, ‘‘আমার সঙ্গে আজ যা ঘটেছে, তার প্রতিবাদ হওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়েছে।’’ পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে অভিযুক্ত শিক্ষক অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’