siuri

Anubrata Mondal: ১৫ থেকে শুরু কর্মী সম্মেলন, নেই অনুব্রতই

সিউড়ি ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কোমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে সম্মেলন শুরু হবে। মূল লক্ষ্য, সংগঠনিক দিক নিয়ে পর্যালোচনা।

Advertisement

দয়াল সেনগুপ্ত 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২২ ০৬:৩৪
Share:

অসুস্থতার জন্যে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ময়দানে নেই। ফাইল চিত্র।

লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন। অঞ্চল ভিত্তিক (গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকা ধরে ধরে) কর্মী সম্মেলন শুরু করতে চলেছে শাসকদল। তৃণমূল সূত্রের খবর, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ব্লকে ব্লকে ওই কর্মসূচি শুরু করার নির্দেশ পৌঁছেছে।

Advertisement

অসুস্থতার জন্যে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ময়দানে নেই। এই সময়কালে জেলায় দলের সাংগঠনিক দিকটি মার খাচ্ছে বলে চর্চা চলছে। তার মধ্যেই অনুব্রতের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পঞ্চায়েতের নির্বাচনের বহু আগে থেকে ঘর গোছানোর প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছে শাসকদল। তবে, সেই নির্দেশ এ বার জেলা সভাপতি নন, দিয়েছে তৃণমূলের জেলা কমিটি। দলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

সিউড়ি ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কোমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ওই দিনের সম্মেলন শুরু হবে। মূল লক্ষ্য থাকবে, সংগঠনিক দিক নিয়ে পর্যালোচনা। দলের এক নেতা বলেন, ‘‘সাংগঠনিক ফাঁকফোকর ভরাট করার লক্ষ্য তো আছেই। তবে, কেন্দ্রের মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতি, জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে লাগাতার প্রচার চালানো হবে। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির কথা বলা হবে। সঙ্গে বর্তমানে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেটাও তুলে ধরব।’’ খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ এসেছে। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে ১৫ তারিখ থেকেই আমরা শুরু করছি না। কর্মী সম্মলনের শুরু কয়েক দিন পিছোবে।’’ তৃণমূল সূত্রের খবর, বরাবর অনুব্রত মণ্ডল নিজে হাজির থেকেছেন এই ধরনের কর্মী সম্মেলন। এই সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে কাটাছেঁডা করেছেন। অনেকে প্রশংসা পেয়েছেন। অনেকের কপালে জুটেছে ভর্ৎসনা। বস্তুত, অনুব্রতকে ছাড়া এমন কর্মী সম্মেলন করার কথা কখনও ভাবেননই জেলার নেতারা। এ বার পরিস্থিতি তেমনই। জেলা সভাপতির যা শারীরিক অবস্থা, তিনি কর্মী সম্মেলনে আসতে পারবেন না বলেই সকলে ধরে নিয়েছেন। ফলে, জেলার কোনও শীর্ষ নেতা হাজির থাকবেন। নির্দেশে বলা হয়েছে প্রতিটি বুথ থেকে ৬০ জন পুরুষ ও ৪০ জন করে মহিলার উপস্থিতি অবশ্যক। যাঁরা দলের সঙ্গে জুড়ে বা সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত, সম্মেলনে অংশ নেবেন তাঁরাই। জেলার একাধিক ব্লক সভাপতি জানান, একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫ থেকে ২০টি বুথ রয়েছে। সেই হিসেবে প্রতিটি সম্মলনে কম পক্ষে ১৫০০ লোকের জমায়েত হবে।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন