নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ উঠল ঝালদায়।
তৃণমূলের ঝালদা শহর সভাপতি দেবাশিস সেন বুধবার অভিযোগ করেন, কংগ্রেস পরিচালিত ঝালদা পুরসভা কুয়ো ঝালাইয়ের নামে সরকারি তহবিল থেকে অন্তত ৫০টি চেক দিয়েছে। পুরসভা থেকে শতাধিক ত্রিপল ভোটারদের বিলি করা হয়েছে। অফিসের সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও পুরসভা খোলা রাখা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল নেতারা। দেবাশিসবাবুর অভিযোগ, ‘‘সমস্তটাই হচ্ছে ভোটারদের প্রভাবিত করতে।’’ প্রশাসনের কাছে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তদন্ত দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা।
তৃণমূলের তরফে তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ঝালদার কংগ্রেস পুরপ্রধান মধুসূদন কয়াল। তাঁর দাবি, ‘‘কুয়ো ঝালাইয়ের কাজের জন্য শ্রমিকদের যে চেক দেওয়া হয়েছে, সেই কাজ আগেই হয়ে গিয়েছে।’’ ত্রিপল বিলির অভিযোগ মানতে চাননি তিনি। কংগ্রেসের তরফে দাবি, নির্বাচনী কাজের জন্য প্রশাসন দুটি ত্রিপল নিয়েছে মাত্র! পুরভবন বেশি সময় খোলা রাখার অভিযোগ সম্পর্কে পুরপ্রধানের মত, ‘‘এর সঙ্গে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের কি সম্পর্ক জানি না! পুরসভার কর্মী কম। অথচ কাজের চাপ রয়েছে। সে কারণেই কখনও কখনও কিছুক্ষণ বেশি কাজ করতে হচ্ছে।’’ তার প্রশংসা না করে বরং সমালোচনা হচ্ছে দেখে তিনি হতাশ। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ, প্রচারে ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে জিগির তুলে বাজার গরম করতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা।
ঝালদার পুরপ্রধান তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলছেন। তাঁর অভিযোগ, এ দিন পুরসভার সামনে মাইক বেঁধে তৃণমূল দু’ঘণ্টা সভা করে। সেখান থেকে তাঁকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘নির্বাচন ঘোষণার পরে যেহেতু এই সভা হয়েছে, তাই প্রশাসনের তরফে সভায় পর্যবেক্ষক পাঠানো উচিত ছিল। তেমনটা হল না কেন?’’ সভার ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়নি বলেও দাবি তুলছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এটি কি বিধিভঙ্গের মধ্যে পড়ে না?’’
ঝালদা ১ ব্লকের বিডিও পূর্ণদেব মালাকার জানান তৃণমূলের তরফে একটি অভিযোগ এসেছে। তিনি তা মহকুমাশাসকের কাছে পাঠাচ্ছেন।