বাঁধ কাটায় অভিযুক্ত ঠিকাদারই

শুক্রবার মদনমোহন মণ্ডল নামে এক বালি কারবারির বিরুদ্ধে মহম্মদবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সেচ দফতরের এসডিও (মহম্মদবাজার সেচ বিভাগ) এলাহি বস্ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০০:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

বন্যার ভ্রুকুটি এড়াতে উচুঁ করা হচ্ছিল নদী বাঁধ। কিন্তু বালি বোঝাই গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই বাঁধটিকে কেটে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ উঠল বালিঘাটের ইজারা পাওয়া এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।

Advertisement

অভিযুক্ত ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে শনিবার বিকাল পর্যন্ত কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে খবর নেই। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার মদনমোহন মণ্ডল নামে এক বালি কারবারির বিরুদ্ধে মহম্মদবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সেচ দফতরের এসডিও (মহম্মদবাজার সেচ বিভাগ) এলাহি বস্ক। ওই আধিকারিক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন বাঁধের নির্দিষ্ট লেভেল থেকে ৩ ফুট কেটে নামিয়ে দিয়েছেন ওই ঠিকাদার। এলাহি বক্সকে না পেয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল সেচ ময়ূরাক্ষী নর্থ ক্যানাল ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জয়দেব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘বন্যা এড়াতেই বাঁধ উঁচু করা। কিন্তু নদীবাঁধে মাটি ফেলার সময় মাটির মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে এলাকাবাসীকে প্রথামিকভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল বালিকারবারিদের তরফে। পরে সেই বাঁধ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠে। তাই অভিযোগ করা হয়েছে।’’ মদনমোহনবাবু অবশ্য অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ সালের বন্যায় প্রবল ক্ষতি হয়েছিল ওই এলাকা। সেই দুশ্চিন্তা মেটাতে বেশ কিছুদিন ধরে, মহম্মদবাজারের খায়রাকুড়ি থেকে সাঁইথিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিমি মযূরাক্ষী নদীর পার উঁচু করার কাজ করছে সেচ দফতর। আঙ্গারগড়িয়ার মামুদপুর ঘাটের কাছেই কাটা হয়েছে বাঁধ। যদিও বালিঘাটের ইজারাপাওয়া ঠিকাদরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ শুধু সেচ দফতরের নয়। অভিযোগ, আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েত প্রধান, স্থানীয় সদস্য এমনকী বিরোধী দলনেতারও।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার মামুদপুর ঘাট হয়ে নদী গর্ভে বালি তোলার বারাত পেয়েছেন ওই ঠিকাদার। কিন্তু নিদের এলাকা ছেড়ে সরকারি খাস জায়গায় বালি কাটা হচ্ছিল বলে আগেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে পঞ্চায়েত। কিছু দিন বন্ধ থাকার পরে ফেরে বালি তোলা শুরু করেন ঠিকাদার। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনু কিস্কু, বিরোধী দলনেতা শ্যামসুন্দর বাগদি এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামতারণ বাদ্যকরেরা গত ২৭ তারিখ মহম্মদবাজারের বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষের কাছে অভিযোগ করেন, ২৫তারিখ রাতেই বালির গাড়ি চলাচলের সুবিধা করতে মাটিকাটার যন্ত্র দিয়ে বাঁধ কেটে দেন ঠিকাদার।

যদিও অভিযোগ উড়িয়ে মদনবাবুর দাবি, ‘‘একেবারেই ভিত্তিহীন অভিযোগ, কারও কারও স্বার্থসিদ্ধিতে অসুবিধার জন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ।’’ মহম্মদবাজারের বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘ওই ঠিকাদার বাঁধ কেটে থাকলে তাঁকেই সেই ক্ষতি পূরণ করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন