Coronavirus

করোনার পরীক্ষা হবে দুর্গাপুরেও

হাজার পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় আসার পরে পরীক্ষা করানোর প্রয়োজনীয়তা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০৬:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিয়মিত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই সময় প্রয়োজন সম্ভাব্য করোনা রোগী চিহ্নিত করতে যত বেশি সংখ্যক পরীক্ষা করানো। কিন্তু, তার মধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে উদ্বেগে রেখেছে লালারসের নমুনার রিপোর্ট পেতে অস্বাভাবিক দেরি।

Advertisement

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে কলকাতার নাইসেডের পাশাপাশি দুর্গাপুরের বেসরকারি কোভিড হাসপাতাল সনকায় বীরভূমের সম্ভাব্য করোনা রোগীদের লালারসের নমুনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলছেন, ‘‘আগে বীরভূমের দুই স্বাস্থ্য জেলা থেকে দুশো নমুনা নাইসেডে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার থেকে কমপক্ষে চারশো লালারসের ননুনা পাঠানো হচ্ছে।’’ তিনি জানান, হাজার

Advertisement

হাজার পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় আসার পরে পরীক্ষা করানোর প্রয়োজনীয়তা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার ভাল হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৩০ জন করোনা আক্রান্তের সকলেই ভিন্ জেলা ও ভিন্ রাজ্য থেকে এসেছেন।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানাচ্ছেন, গত কয়েক দিনে প্রায় ৭ হাজার মানুষ জেলায় ফিরেছেন। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ ফিরছেন। এই অবস্থায় সরকারি নিভৃতবাসে রেখে সকলের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা মুখের কথা নয়। তাই উপসর্গ ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে প্রশাসন।

তবে, তাঁরা কতটা নিজেদের বাড়িতে আটকে রাখছেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। তাই দেরিতে আসা রিপোর্টে তাঁদের কেউ করোনা-পজ়িটিভ হলেই চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতরের।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে সন্দেহভাজন করোনা রোগীর লালারসের নমুনা পাঠানো হত কলকাতার নাইসেডে। কিন্তু করোনা-পরীক্ষার দ্রুত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা হয় লাগোয়া বহরমপুরে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার দিন কয়েকের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা থেকে প্রতিদিন গড়ে শ’তিনেক করে নমুনা পাঠানো হলেও রিপোর্ট সময়ে মিলছিল না। শয়ে শয়ে রিপোর্ট বকেয়া থেকে যাচ্ছিল।

জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘রিপোর্ট পেতে অস্বাভাবিক দেরি দেখে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফের নাইসেডে পাঠানো শুরু

হয়েছে। কিন্তু সেখানে নমুনা পাঠানোর সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দুর্গাপুর হাসপাতালে করোনা টেস্ট হলে কিছুটা সুরাহা হবে।’’ সূত্রের খবর, শীঘ্রই সিউড়ি জেলা হাসপাতাল করোনা পরীক্ষা করায় স্বনির্ভর হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই সমস্ত যন্ত্রপাতি বসেছে। জুনের প্রথম দিকেই সিউড়িতে এই ব্যবস্থা চালু হলে আর সমস্যা থাকবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement