Coronavirus

দুই বিধায়কের করোনা পরীক্ষা

সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই সতর্কতা নিয়েছেন বাঁকুড়া ডিপোর আধিকারিক-কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খাতড়া শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০৬:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ করোনা-আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর সঙ্গে বাঁকুড়ায় বৈঠক করা দুই বিধায়ক-সহ কয়েকজনকে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করাতে বলল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবারই ওই দুই বিধায়ক অরূপ খাঁ ও জ্যোৎস্না মান্ডি লালারসের নমুনা পরীক্ষা করান। বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে দুই বিধায়ক-সহ যাঁরা ছিলেন, সবাইকে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।’’

Advertisement

জেলায় পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে গত ১৯ মে আলোচনা করতে বাঁকুড়ার দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোতে এসেছিলেন তমোনাশবাবু। সেখানে ছিলেন নিগমের অন্যতম সদস্য তথা ওন্দার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ খাঁ ও রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি এবং বাঁকুড়া ডিপোর আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, ফিরে গিয়ে অসুস্থ হন তমোনাশবাবু। পরে তাঁর লালারসের পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই সতর্কতা নিয়েছেন বাঁকুড়া ডিপোর আধিকারিক-কর্মীরা। সে দিন তমোনাশবাবুর সংস্পর্শে আশা ব্যক্তিদের নিজেদের বাড়িতেই ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার নির্দেশ দেয় বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার মধ্যেই কোনও উপসর্গ না থাকলেও আগাম সাবধানতায় মঙ্গলবার দুপুরে শারীরিক পরীক্ষা করান দুই বিধায়ক।

Advertisement

অরূপবাবু এ দিন বাঁকুড়া মেডিক্যালে পরীক্ষা করান। বিধায়কের দাবি, ‘‘আমার লালারসের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে আপাতত ক’দিন বাইরে বেরোব না। দলীয় অফিসে বসব।’’

বাঁকুড়া মেডিক্যালে সম্প্রতি করোনা-পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সে কারণে অরূপবাবুর রিপোর্ট এ দিনই পাওয়া গেল বলে মেডিক্যাল সূত্রের খবর।

বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, ‘‘ওন্দার বিধায়কের দেহে করোনার ভাইরাস ধরা পড়েনি।’’ তিনি জানান, বাকিদের পরীক্ষা আজ, বুধবার করা হবে।

জ্যোৎস্নাদেবী বলেন, ‘‘ওই দিন আমরা আট-দশ জন তমোনাশবাবুর সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব মেনে আলোচনায় ছিলাম। তমোনাশবাবু করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়। আমার সংস্পর্শে আসা অন্যদের ও নিজের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এ দিন শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছি। কারণ, নানা কারণে মানুষের কাছে যেতে হয়। তাই পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়াটা জরুরি।’’ তিনি জানান, একই সঙ্গে তাঁর দেহরক্ষী ও গাড়ির চালকেরও শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়।

খাতড়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তাপসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রাথমিক পরীক্ষায় তাঁদের কারও শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন