Coronavirus

মজুত থাকার পরেও রক্ত না দেওয়ার নালিশ    

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম ভলান্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশন সারাবছরই বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পের মাধ্যমে রোগীদের রক্ত দিয়ে সাহায্য করে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০৪:৩০
Share:

অপেক্ষায়: মুরারই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষারা লাইনে ভিন্ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকেরা। ছবি: তন্ময় দত্ত

রক্তের জোগান থাকার পরেও মুমূর্ষু রোগীদের বোলপুর হাসপাতাল থেকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে না বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করল বীরভূম ভলান্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম ভলান্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশন সারাবছরই বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পের মাধ্যমে রোগীদের রক্ত দিয়ে সাহায্য করে থাকে। ওই সংস্থার অভিযোগ, গত সোমবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে এক রোগীর ডায়ালিসিসের জন্য (ও পজেটিভ) রক্তের প্রয়োজন হয়। রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত আনতে গেলে পর্যাপ্ত জোগান থাকার পরেও তা দিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। তখন রোগীর পরিজনেরা ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে। শেষে সংস্থার সম্পাদক নুরুল হক এক ডোনারকে ব্লাড ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে রক্তের ব্যবস্থা করেন। এ দিকে, সময় মতো রক্ত না মেলায় রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে পরিজনদের দাবি। তাঁকে ওই দিনই কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্তের জোগান থাকা সত্বেও এই লকডাউনের সময়ে রোগীর পরিবারকে কেন ডোনারের জন্য এ ভাবে ছোটাছুটি করতে হবে। সংস্থার সম্পাদক নুরুল হক রোগীর পরিবারের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন। তাঁর কথায়, "কেন এমন করা হচ্ছে, তা জেলা স্বাস্থ্য দফরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।'

একই অভিযোগ আরও আছে। রবিবার বোলপুর থানার অন্তর্গত কাঁকুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিবানী সরেনের বোলপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে টিউমার অপারেশন হয়। অপারেশনের পর ওই জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এই অবস্থায় রক্তের প্রয়োজন হলে তাঁর ছেলে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গেলে জোগান থাকা সত্ত্বেও প্রথমে রক্ত না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই পরিবারও বীরভূম জেলা ভলান্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দ্বারস্থ হয়। এর পরে এক ডোনারের মারফত ওই রোগীর আত্মীয়কে রক্ত দেওয়া হয়। শিবানী সরেনের ছেলে দিলীপবাবুর অভিযোগ, "প্রথমে বলা হয়, ব্লাড ব্যাঙ্কে কোনও রক্ত নেই। ডোনার ছাড়া কোনও মতেই রক্ত দেওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতিতেও যদি এই ভাবে হয়রানি করা হলে আমরা কোথায় যাব?"

Advertisement

অভিযোগ অস্বীকার করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক ইনচার্জ তীর্থঙ্কর চন্দ্র বলেন, "এই অভিযোগ ঠিক নয়। এই মুহূর্তে নতুন করে কোনও ক্যাম্প না হওয়ায় হাসপাতালে রক্তের সঙ্কট চলছে। শুধু জরুরি রোগীর ক্ষেত্রে ডোনার ছাড়া রক্ত দেওয়া হচ্ছে। বাকি কোনও রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে, ডোনার দিয়েই রক্ত নিয়ে যেতে হবে।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন