Coronavirus in West Bengal

২৪ শ্রমিকের ঠাঁই বাহিরীর কোয়রান্টিনে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বোলপুর শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০৩:১৪
Share:

ছবি পিটিআই।

ভিন্ রাজ্য, জেলা থেকে আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে ২৪ জনকে কোয়রান্টিনে রাখল জেলা প্রশাসন। সোমবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ওই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়।

Advertisement

পুলিশ, ওই শ্রমিকদের থেকে জানা গিয়েছে, ভিন্ রাজ্য সহ কলকাতা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়া শ্রমিকদের তিনটি দল সোমবার সকালে বোলপুর এসে পৌঁছয়। এঁদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার পাঁচ ফেরিওয়ালা রয়েছেন। জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে তাঁরা উত্তরপ্রদেশে বিভিন্ন জিনিস ফেরি করতে গিয়েছিলেন। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে উত্তরপ্রদেশে তাঁদের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই তাঁরা শনিবার ট্রাকে উত্তরপ্রদেশ থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত আসার পরে সেখান থেকে আনাজের গাড়িতে করে ফের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু, বর্ধমান-বীরভূমের সীমানার কাছে গাড়ি চেকিং-এর সময় তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বোলপুর পৌঁছন।

অন্য দিকে, মালদহ ও বীরভূমের কিছু শ্রমিক রাজমিস্ত্রির কাজ করতে মাসখানেক আগে কলকাতায় গিয়েছিলেন। লক-ডাউন এর পরে তাঁরাও আটকে পড়েছিলেন। সোমবার একটি ট্রাকে তাঁরাও কলকাতা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। বীরভূম-বর্ধমান সীমানার কাছে চেকিং-এর সময় তাঁদেরও নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁরাও বাকি পথ পায়ে হেঁটে বোলপুর পৌঁছন। প্রথমে সাহায্যের জন্য তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে এসে হাজির হন। কার্যালয় থেকে বোলপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। তার পরে একটি বাসে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সকলকেই আপাতত বাহিরী গ্রামের কোয়রান্টিনে কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

Advertisement

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্যের সঙ্গে বীরভূমেও তৎপর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। ভিন্ রাজ্য বা বিদেশ থেকে এই জেলায় এসেছে এমন কোনও ব্যক্তির খোঁজ পেলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে কোয়রান্টিনে রাখা হচ্ছে। সোমবার সকালে ভিন্ রাজ্য ও কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।

শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চেকিং করা হয়। কিন্তু, কোথাও খাবার বা জলের ব্যবস্থা করা হয়নি। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা সাহাজুল শেখ, আশারুল শেখ, আমানুল শেখদের কথায়, ‘‘কবে যে বাড়ি ফিরব জানি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন