Coronavirus in West Bengal

অনুষ্ঠানে পরীক্ষা করানোর লাইন, নিভৃতবাসে আধিকারিক

পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানিয়েছেন, স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিকের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার ও পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২০ ০৪:০৬
Share:

সংগ্রহ: করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা নেওয়া হচ্ছে।  মানবাজার ১ ব্লক অফিস প্রাঙ্গণে রবিবার। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো

আদিবাসী দিবসের জেলাস্তরের অনুষ্ঠানে করোনা পরীক্ষার আয়োজনও করেছিল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। রবিবার মানবাজার ১ ব্লক অফিস চত্বরে ওই পরীক্ষার জন্য পড়েছিল লাইন। বিএমওএইচ (মানবাজার) রামকৃষ্ণ হেমব্রম বলেন, ‘‘প্রায় আড়াইশো জনের পরীক্ষা হয়েছে। প্রায় সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শুধু এক জনের আরও পরীক্ষা করা দরকার।’’

Advertisement

পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানিয়েছেন, ওই পরীক্ষায় স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিকের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। তবে এ দিনের পরীক্ষাগুলি হয়েছে ‘র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট’ দিয়ে। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই আধিকারিকের লালারসের নমুনা ‘আরটি-পিসিআর’ যন্ত্রে (রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ় চেন রিঅ্যাকশন) পরীক্ষা করানো হবে।

জেলাশাসক বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটে পরীক্ষা করে আড়শা ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিকের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছিল। পরে আরটি-পিসিআর যন্ত্রে পরীক্ষা করানোয় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।’’ বিএমওএইচ (মানবাজার) রামকৃষ্ণবাবু জানিয়েছেন, মানবাজারের ওই আধিকারিকের কোনও উপসর্গ নেই। তাঁকে আপাতত সাত দিন ‘আইসোলেশন’-এ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এ দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে করোনা-পরীক্ষায় আগ্রহ লক্ষ করা গিয়েছে। দূরত্ববিধি মেনে লাইন আরও দীর্ঘ হয়েছিল। বান্দোয়ানের চিলা গ্রামের মাধব শবর বাদ্যকর হিসাবে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘এসে দেখলাম, বিনা খরচে পরীক্ষার সুযোগ মিলছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বললেন, আধঘণ্টার মধ্যে রিপোর্টও পাওয়া যাবে। তাই সুযোগটা আর হাতছাড়া করিনি।’’

মানবাজারের ডাহা গ্রামের প্রাণকৃষ্ণ মাহাতো বলেন, ‘‘এখন যা পরিস্থিতি, তাতে পরীক্ষা করিয়ে রাখাতে পারলে অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। এই সুযোগ পেয়ে খুব সুবিধা হল।’’

পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় আদিবাসীদের সংখ্যা বেশি। এই দুই জেলার আদিবাসীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ কম। তাঁদের জীবনশৈলীর জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।’’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধক্ষ্য গুরুপদ টুডু, বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন প্রমুখ।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন