সঙ্কোচে: বিচারকের নির্দেশের পরে। সোমবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র
বিচারকের পরামর্শে দাম্পত্য কলহ ‘দূরে ঠেলে’ চার হাত এক হল দম্পতির। তবে, পুরনো ক্ষত পুরোপুরি মিলিয়ে যায়নি বলেই অনেকের মত। সোমবার সিউড়ি জেলা জজ পার্থসারথি সেনের এজলাসের ঘটনা।
বিয়ের আট মাসের মাথায়, ৩০ অগস্ট মল্লারপুরের বাসিন্দা স্বামী, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের দাবিতে নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন বোলপুরের তরুণী বধূ। সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী জানান, গত বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির পরে দু’পক্ষের মন্তব্য শুনে বিচারক যুবককে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘শ্বশুরবাড়িতে তিন দিন জামাই আদরে থাকুন। ওই ক’টা দিন কোনও পুরানো বিবাদ নিয়ে আলোচনা নয়। একান্তে কাটান।’ তপনবাবুর কথায়, ‘‘মন বুঝে তার পরেই মামলার শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন বিচারক।’’
সোমবার সেই মামলা ওঠে জেলা জজের এজলাসে। সরকারি আইনজীবী জানাচ্ছেন, বিচারকের সিদ্ধান্ত মেনে ওই যুবক পর দিন শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। সোমবার আদালতে হাজির হয়ে বিবাদ ভুলে ফের একসঙ্গে থাকতে রাজি হন উভয়েই। স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে সম্মত হওয়ায় জামিনও মিলেছে অভিযুক্তদের। স্বামীর সঙ্গেই শ্বশুরবাড়ি ফিরেছেন ওই বধূ।
তা হলে আবার কিন্তু কেন? অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মামলার সরকারি আইনজীবী উভয়েই জানান, এ দিন শ্বশুরবাড়ি থেকে আদালতে হাজির হয়ে বিচারকের কাছে স্ত্রীর সঙ্গে থাকব এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও অশান্তি থামছিল না। জামিন মেলার পরেও ফের স্বামী-স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিচারকের কাছে গিয়ে ফের স্বামীর বিরুদ্ধে নালিশ জানান বধূ। তখন বিচারক জানান, জামিন পাওয়া মানেই ছাড় পাওয়া নয়। সরকারি আইনজীবীর কথায়, ‘‘বিচারক তখন জানান, ‘সমস্যা হলে আদালতের রাস্তা আপনার জন্য খোলা থাকল। আপনি স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যান।’’ অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই বধূর উপরে কোনও অত্যাচার হবে না এই মর্মে একটি মুচলেকা দিতে হয়েছে মক্কেলদের।