Birbhum

Lockdown: স্তব্ধ পরিবহণ, বন্ধ কাজ, করোনা পরিস্থিতির জেরে প্রবল ক্ষতি বীরভূমের তাঁত শিল্পীদের

পরিবহণ। কলকাতার বড়বাজার-সহ দক্ষিণ বঙ্গের বাজারগুলি বন্ধ। ফলে কাজের বরাত না পেয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বসোয়া গ্রামের তাঁত শিল্পীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২১ ১৬:১৫
Share:

লকডাউনের কারণে কাজের বরাত নেই তাঁত শিল্পীদের। নিজস্ব চিত্র।

বীরভূম জেলার রামপুরহাট-২ ব্লকের অন্তর্গত মাড়গ্রাম থানার বসোয়া গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় ৭৫ শতাংশ তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এটাই তাদের রুটি-রুজির একমাত্র পথ। গত বছর লকডাউনের সময় তাঁদের কেটেছে খুবই অভাব-অনটনের মধ্যে। তবুও আশা ছাড়েননি তাঁত শিল্পীরা। এ বছরও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে রাজ্যে কার্যত লকডাউন শুরু হয়েছে। ফলে বন্ধ সড়ক ও রেল পরিবহণ। কলকাতার বড়বাজার-সহ দক্ষিণ বঙ্গের বাজারগুলিও বন্ধ। ফলে কাজের বরাত না পেয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বসোয়া গ্রামের তাঁত শিল্পীরা।

Advertisement

গ্রামের এক তাঁত শিল্পী বলেন, ‘‘খুবই দুঃসময় চলছে আমাদের। আমরা কাপড় বুনে মহাজনকে দিই। মহাজন সে কাপড় কলকাতার বড়বাজারে পাঠান । একটা কাপড় বুনতে ২-৩ দিন সময় লেগে যায়। অনেক জনকেই প্ররিশ্রম করতে হয়। সকাল থেকে সারাদিন খেটে একটি কাপড়ের পিছনে দু’শো-আড়াইশো টাকা মজুরি পাই। এই ভাবেই আমাদের সংসার চালাতে হয়।’’

শিল্পীদের কথায়, রাজ্য সরকারের নির্দেশে কাপড়ের দোকান খোলা। কিন্তু কার্যত লকডাউন পরিস্থিতির কারণে বন্ধ সমস্ত যানবাহন। তাঁতিরা পাচ্ছেন না বরাত। কিছু কাপড় তৈরি থাকলেও তা পাঠাতে পাচ্ছে না তাঁরা। ফলে রোজগার পুরোপুরি বন্ধ। বসোয়া গ্রামে তাঁত শিল্পীরা এখন একটাই আশায় আছেন— করোনা পরিস্থিতিতে যদি সরকারি অনুদান বা সুযোগ-সুবিধা কিছু পাওয়া যায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন