Anubrata Mondal

অনুব্রত-হীন জেলায় ফের সিপিএমে যোগ

কয়েক মাস পরেই পঞ্চায়েত ভোট। এর আগের পঞ্চায়েত ভোটে বিভিন্ন এলাকায় বিরোধীদের জোর করে মনোনয়নপত্র জমা না-করতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাইকর শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৩১
Share:

পাইকরের মিত্রপুরে সিপিএমের সভা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।

জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় ফের তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিলেন শতাধিক সমর্থক। বিজেপি থেকেও অনেকে দলে এসেছেন বলে সিপিএমের দাবি। মঙ্গলবার পাইকর থানার মিত্রপুর পঞ্চায়েতের দাতুড়া গ্রামে সিপিএম যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। তৃণমূল এবং বিজেপির কয়েকশো কর্মী-সমর্থক যোগদান করায় জেলার রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

Advertisement

কয়েক মাস পরেই পঞ্চায়েত ভোট। এর আগের পঞ্চায়েত ভোটে বিভিন্ন এলাকায় বিরোধীদের জোর করে মনোনয়নপত্র জমা না-করতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এখন অনুব্রত-হীন জেলায় সিপিএম কিছুটা জমি ফেরত পাওয়ার চেষ্টায় মরিয়া। তাদের কর্মসূচিও অনেক বেড়েছে আগের চেয়ে। এ দিনের যোগদান কর্মসূচি দলের নিচুতনার কর্মীদের আরও মনোবল বাড়াবে বলে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি।

মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি, সিপিএমের মহম্মদ আলিরেজা মানিক বিজেপি-তে যোগদান করেছিলেন। বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতির পদও পেয়েছিলেন তিনি। সেই আলিরেজা এ দিন ফের পুরোনো দলে ফিরলেন। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি আর তৃণমূল একটাই দল। যা বিজেপিতে যোগদানের পরে বুঝতে পেরেছি। তাই পুরনো দলে ফিরলাম। রাজ্য ও কেন্দ্রে যা পরিস্থিতি, তাতে বামপন্থীরা ছাড়া দেশ ও রাজ্য চলবে না। তাই তিনশোরও বেশি তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী নিয়ে সিপিএমএ যোগদান করলাম।’’

Advertisement

মুরারইয়ের বাসিন্দা ও বিজেপি-র জেলা সম্পাদক অরিণ দত্ত বলেন, ‘‘আলিরেজা মানিক মুরারই কলেজে চাকরি করেন। তাঁকে বিজেপি ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল তৃণমূল। বাধ্য হয়ে সিপিএমে যোগা দিয়েছেন। তবে তিনি ছাড়া আর কোনও বিজেপি কর্মী যোগদান করেছেন বলে মনে হয় না।’’ চাপ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা অঞ্চল সভাপতি বাসরুজ্জামান মোল্লা ওরফে বকুল বলেন, ‘‘তৃণমূলের কোনও কর্মীর সিপিএমে যাওয়ার কথা জানা নেই। তবে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির সংগঠন করতে না-পারায় আলিরেজা হয়তো আবার সিপিএমে যোগদান কড়ছেন। তবে পঞ্চায়েত ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’’

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মণের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ধর্মের রাজনীতি বাম দলগুলি করে না। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সকলে বুঝতে পেরে আবার পুরনো দলে ফিরতে শুরু করেছেন।’’ তিনি জানান, পঞ্চায়েত ভোটের আগে নভেম্বর মাসের মধ্যে মানুষের পৌঁছে দলের আদর্শের কথা জানানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে দলের তরফে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন