—প্রতীকী চিত্র
বাড়ি থেকে মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল কাটোয়ায়। বৃহস্পতিবার শহরের একাইহাটে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় বিধবা ওই মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশী ও আত্মীয়েরা। কী কারণে এই খুন, সে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
প্রতিদিন ভোরে একাইহাট দাসপাড়ায় রিঙ্কু দাস (৪২) নামে ওই মহিলা পুজোর ফুল তুলতে যেতেন। সঙ্গে যেতেন তাঁর আত্মীয় বছর চোদ্দোর একটি মেয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ ফুল তুলতে বেরিয়ে রিঙ্কুদেবীকে না দেখে তাঁর বাড়ির দরজায় ঠেলা দেয় মেয়েটি। তখনই দেখা যায়, ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
যে ঘরে গলা কাটা দেহ পড়েছিল, সেই ঘরে পাখা ও টিভি চলছিল। দেহের পাশে রক্তমাখা ছুরি, পুরুষ ও মহিলার কয়েকটি রক্তমাখা অন্তর্বাস, একটি মোবাইল মিলেছে। বছর দুয়েক আগে তাঁর স্বামী, রঙের মিস্ত্রি সন্তোষ দাসকে একাইহাট পাটবাড়ি এলাকার কালাচাঁদ আশ্রমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর থেকে টিনের চাল দেওয়া এক কামরার বাড়িতে একাই থাকতেন রিঙ্কুদেবী। তাঁর দুই ছেলে সুমন ও সজল মুম্বইয়ে হোটেলে কাজ করেন।
১ অক্টোবর পুজো উপলক্ষে বাড়ি ফিরেছিলেন মৃতার বড় ছেলে, বছর বাইশের সুমন। তিনি জানান, সোমবার জন্মদিন উপলক্ষে একাইহাটে থাকলেও মঙ্গলবার জামালপুরে মামরবাড়িতে চলে যান। ভাই সজল মুম্বইয়েই রয়েছেন। সুমন এ দিন বলেন, ‘‘ভোরে ফোনে খবর পেয়ে একাইহাট ফিরেছি। বাবার মৃত্যুর সঙ্গে মায়ের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখুক পুলিশ।’’ মৃতার শ্বশুর নিরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘ছেলের পরে বৌমারও এ ভাবে মৃত্যু হবে, আমাদের কল্পনারও বাইরে!’’