চাঁদার জুলুম, মার চালককে

দাবি মতো কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় গাড়ি চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার সকালে সাঁইথিয়ার রক্ষাকালীতলা রাস্তার ঘটনা। আক্রান্ত চালকের নাম ভজন মুদি, বাড়ি সাঁইথিয়া ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর মাথায় ও কপালে আঘাত লাগে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ০১:২৯
Share:

প্রতিবাদে পথ অবরোধ। বৃহস্পতিবার সকালে সাঁইথিয়া। —নিজস্ব চিত্র

দাবি মতো কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় গাড়ি চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার সকালে সাঁইথিয়ার রক্ষাকালীতলা রাস্তার ঘটনা।

Advertisement

আক্রান্ত চালকের নাম ভজন মুদি, বাড়ি সাঁইথিয়া ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর মাথায় ও কপালে আঘাত লাগে। চোখে আঘাতের চিহ্ন। সাঁইথিয়া হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। এ দিন ক্ষুব্ধ গাড়ি চালকরা রাস্তায় ক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মিনিট দশেকের জন্য ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ততক্ষণে চাঁদা আদায়কারীরা সরে পড়ে। পুলিশ ক্ষুব্ধ গাড়ি চালকদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ জানায়, এ ব্যাপারে কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। তবে পুলিশ ওই চাঁদা আদায়কারী দলের সদস্যদের খোজে তল্লাসি শুরু করেছে।

লক্ষ্মীপুজো শেষ হতে না হতেই কালী পুজোর চাঁদা তোলা শুরু করে দেয় কিছু ক্লাব বা পুজো আয়োজক সংস্থা। এ চিত্র জেলার প্রায় সর্বত্র। মোরগ্রাম রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের মহম্মদবাজার, সিউড়ি সহ বিভিন্ন প্রান্তে, এবং অধিকাংশ রাজ্য সড়কেও ট্রাক বা গাড়ি আটকে চাঁদা তোলা হয়। সাঁইথিয়াও তার থেকে ব্যাতিক্রম নয়।

Advertisement

ভজনবাবু বলেন, ‘‘আমি স্থানীয় মুরগি খামারের একটি ছোটো গাড়ি চালাই। এ দিন সকাল সোয়া ন’টা নাগাদ, ওই গাড়ি নিয়ে আমোদপুর যাওয়ার সময় আরকে রোডে কয়েকজন আমার গাড়ি আটকে ৫০ টাকা চাঁদা চাই। আমি তা দিতে অস্বীকার করি। এবং ওদের মুরগির খামারে গিয়ে চাঁদা নেওয়ার কথা বলি। তা থেকে বচসা শুরু হয়। এরপরেই ওরা আমাকে মারতে শুরু করে।’’ মুরগি খামারের আরেক গাড়ি চালক ভজনের সহকর্মী, কাদের খান ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, ‘‘মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে।’’

পুলিশের দাবি, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিন ওখানে কারা চাঁদা তুলছিল এবং গাড়ি চালককে মারধর করেছে, তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন