রাস্তা চাই, দাবি নিয়ে রাস্তাতেই বসল পুঞ্চা

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করলেন কোটশিলা থানা এলাকার বড়তলিয়া গ্রাম ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার সকাল ৬টা থেকে কয়েকশো বাসিন্দা বড়তলিয়া-বেগুনকোদর রাস্তায় অবরোধ শুরু করেন। অবরোধকারীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই এই রাস্তাটি বেহাল। তার জেরে দুর্ঘটনাও ঘটছে। অথচ প্রশাসন উদাসীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোটশিলা ও পুঞ্চা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০১:৩১
Share:

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করলেন কোটশিলা থানা এলাকার বড়তলিয়া গ্রাম ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার সকাল ৬টা থেকে কয়েকশো বাসিন্দা বড়তলিয়া-বেগুনকোদর রাস্তায় অবরোধ শুরু করেন। অবরোধকারীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই এই রাস্তাটি বেহাল। তার জেরে দুর্ঘটনাও ঘটছে। অথচ প্রশাসন উদাসীন। স্থানীয় বাসিন্দা ধীরেন কুমার বলেন, ‘‘বড়তলিয়া থেকে বেগুনকোদর এই রাস্তাটির অবস্থা বেহাল হয়ে রয়েছে। আমাদের সদর বেগুনকোদরে যে কোনও কাজে বা বাজার-হাট করতে যেতে হয়। কিন্তু রাস্তার অবস্থা বেহাল। এ দিন অবরোধে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় মহিলারাও। যশোদা কুমার নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘রাস্তার এই অবস্থা। বাধ্য হয়ে আমরা আজ আন্দোলনে নেমেছি।’’ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কোটশিলার যুগ্ম বিডিও শুভদীপ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তার অল্প কিছুটা অংশ বেহাল রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলছি। কী ভাবে এই রাস্তাটির সংস্কার করা যায় তা দেখা হচ্ছে।’’ বাসিন্দারা জানান, যুগ্ম বিডিওকে সব বলা হয়েছে। তাঁর কথায় এ দিনের মতো আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এ দিই রাস্তা তৈরির দাবিতে মানবাজার-বাঁকুড়া রাস্তায় পুঞ্চা থানার পায়রাচালি গ্রামে, সকাল থেকে অবরোধ করেন বাসিন্দারা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির কর্মীরাও। মানবাজারের জয়েন্ট বিডিও শ্রীকুমার ভট্টাচার্য অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে দাবি মেটানোর আশ্বাস দিলে বাসিন্দারা ঘণ্টা দুয়েক পরে অবরোধ তুলে নেন। এ দিন সকাল ছ’টা থেকে পায়রাচালি বাজারে অবরোধ শুরু হয়। এর জেরে দু’পাশে বহু গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে।

এ দিন সকালে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকশো বাসিন্দা হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। অবরোধে ছিলেন পুঞ্চা থানার কোলডিহা, গোবর্দা, দুলালপুর গ্রামের বাসিন্দারা। গোবর্দা গ্রামের সনকা বাউরি, প্রমীলা বাউরি, মেথরি বাউরি বলেন, ‘‘পায়রাচালি বাজারের পাকা রাস্তা থেকে আমাদের গ্রামের দূরত্ব প্রায় ছয় কিলোমিটার। পায়রাচালি বাজার থেকে দুলালপুর পর্যন্ত মোরাম রাস্তা আছে। তারপর আর রাস্তা নেই। পুকুরের পাড়, জমির আল দিয়ে গ্রামে ঢুকতে হয়। রাস্তা না থাকায় গ্রামে গাড়ি ঢোকে না। দু’টি গ্রামে প্রায় আড়াইশো পরিবারের বাস। আমাদের গ্রাম থেকে পায়রাচালি বাজার হেঁটে আসতে হয়। রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিপদে পড়ে যাই। অসুস্থ মানুষকে খাটিয়ায় চাপিয়ে নিয়ে যেতে হয়।’’

Advertisement

বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য পায়রাচালির বাসিন্দা শৈলেন মিশ্র বলেন, ‘‘রাস্তা চেয়ে আমরা ইতিপূর্বে বহুবার আবেদন জানিয়েছি। কোনও কাজ হয়নি। বাসিন্দারা পথের দাবিতে বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ করেছেন।’’ বিডিও বলেন, ‘‘রাস্তা নির্মাণের জন্য আগে জমি পাওয়া নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। এখন ওরা বলছেন জমি পাওয়া যাবে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণ করা যায় কি না দেখছি। এ ছাড়া দুলালপুর গ্রামে পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ওখানে একটি নলকূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছে। পায়রাচালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়মিত চালুর দাবি ছিল। এ বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে কথা বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন